সুদীপ দেবনাথ (রিমন সূর্য), বিনোদন প্রতিবেদক: জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের শ্রোতাপ্রিয় গান “তোমারও দুনিয়া দেখিয়া শুনিয়া” নিজ কন্ঠে তুলে নিলেন এ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী রুবিনা আলমগীর। নিজ কন্ঠে রেকর্ডকৃত এই গানটির দৃশ্য চিত্রায়নের কাজও সম্প্রতি শেষ করলেন রাজধানীর বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে। রমনা পার্ক, শিল্পকলা একাডেমিসহ দৃষ্টিনন্দন লোকেশনে চিত্রায়িত এই গানের মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছেন শিল্পী নিজেই। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জনপ্রিয় এই গানটি নিজের কন্ঠে গাওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিশীল এই গায়িকা ও অভিনেত্রী বলেন, সাবিনা ইয়াসমিনের প্রতি ভালো লাগা আর ভালোবাসা কারণেই খুব ছোটবেলা থেকে আমার গানের ভুবনে পথচলা। সংগীত একটি গুরুমুখী বিদ্যা ও সাধনার বিষয়। যার কারণে শৈশব থেকেই গানকে নিজের ভালো লাগা আর ভালোবাসার জায়গায় স্থান দিয়েছি।
প্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের গান গাওয়ার শখ আমার অনেক দিনের কাঙখিত বাসনা। কতটুকু গাইতে পেরেছি সেটার বিচার করবেন আমার শ্রোতারা। তবে, এত বড় মাপের একজন গুনী শিল্পীর গান গাওয়াটা আমার মতো নগণ্য মানুষের জন্য দুঃসাহসই বটে। সংগীতে উনি আমার আইডল। আর সবাই তার আইডলকেই অনুসরণ করে। আসন্ন দুর্গাপূজায় গানটি আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে। দর্শক শ্রোতারা গানটি কতটা গ্রহণ করে, অর্থাৎ কতটা সাড়া পাই সেই অপেক্ষাতেই আছি। তবে, দর্শক শ্রোতাদের ভালোবাসা ও সমর্থন পেলে আমিও ক্যারিয়ার নিয়ে সফলতার পথে এগিয়ে যাবো বলে প্রত্যাশা করছি। পুজায় “তোমারও দুনিয়ায় দেখিয়া শুনিয়া” গানের মিউজিক ভিডিও ছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রুবিনা আলমগীরের আরো তিনটি মিউজিক ভিডিও এবং “বাজি” ও ” কবি” নামের দুটি চলচ্চিত্র। রুবিনা জানান, এর আগে তার লেখা এবং গাওয়া ও অভিনীত ২ টি গান প্রকাশের পাশাপাশি নিজ কন্ঠে গাওয়া ও অভিনীত আরো ৪টি গান প্রকাশ পায়। আর প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে নিজ নামের শিরোনামের গান ‘ রূপগঞ্জের রুবিনা” সহ আরো একটি মিউজিক ভিডিও ও দুটি সিনেমা। এছাড়া বেশ কয়েকটি কাজের কথা চলছে। তবে,,ব্যাটে বলে মিলছেনা বলে সব কাজ করা হচ্ছেনা। কথা প্রসঙ্গে রুবিনা বলেন, নিম্নমানের যেনতেন অনেক কাজের চেয়ে কোয়ালিটিসম্পন্ন অল্প কয়েকটি কাজের মাধ্যমেই ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে চাই। তারকা হতে আসিনি, শিল্পী হতে এসেছি। কারণ তারকা কোন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ঝরে যায়,,খসে যায়। কিন্তু শিল্পী আজীবন রয়ে যায়। গতানুগতিকতার জোয়ারে ভেসে যেতে চাইনা বলেই অনেক কাজ করা হয়না। তবে কোয়ালিটি যে কাউকে তার কাঙখিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে বলেই আমার বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকা এবং সেই বিশ্বাস নিয়েই স্বপ্ন দেখা।