
খান মো. আঃ মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের জয়গঞ্জ এলাকায় আত্রাই নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে চার জেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কয়েক যুগ ধরে দাবি থাকলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও নির্মিত হয়নি একটি স্থায়ী সেতু। ফলে বর্ষাকালে নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। লক্ষাধীক মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া আত্রাই নদীর উপর সেতু।
প্রতিদিন এই সাঁকো পার হয়ে যাতায়াত করছেন হাজারো কৃষক, কর্মজীবী নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী ও পথচারী। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে পার হচ্ছেন। ভরা মৌসুমে নদীতে পানি বেড়ে গেলে একমাত্র ভরসা হয় নৌকা। এতে করে শিক্ষা, চিকিৎসা, পণ্য পরিবহনসহ সব ধরনের কার্যক্রমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
ঝাড়বাড়ী-জয়গঞ্জ খেয়াঘাট সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘একটি সেতু হলে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এতে করে শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ও বাণিজ্যে অভাবনীয় উন্নয়ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতুর দাবিতে আমরা বহুবার আন্দোলন করেছি, মানববন্ধন করেছি। নির্বাচনের আগে অনেক প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও সেতু হয়নি। পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দামও পাচ্ছেন না।’
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য হাইড্রোমরফোলজিক্যাল স্টাডি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে ডিজাইন-বাজেট প্রণয়ন করা হবে।’
উল্লেখ্য, প্রায় ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মিত হলে দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এই চার জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে খুলে যাবে নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্ভাবনার দ্বার। এলাকাবাসীর দাবি, সরকার যেন দ্রুত সেতু নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।