লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে একই ওয়ার্ডের মাওলানা রেহান উদ্দিন (ডিবি রোড) সংলগ্ন বাসার জনৈক তরিকুলকে।
জানা যায়, সম্পত্তি ক্রয়সূত্রে অত্র ওয়ার্ডে ভবন নির্মান করা গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুলের সাথে উত্তর মজুপুর গ্রামের আলাউদ্দিন-আক্তার-কাইয়ুম গংদের সাথে চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এ ব্যাপারে আশ্রাফ আলীর পুত্র আলাউদ্দিন এবং নুর নবী পাটোয়ারীর পুত্র এড. কাইয়ুম পাটোয়ারী গং বাদী হয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার নম্বর-৪৩৬/২২। তখন মেয়র কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে প্যানেল মেয়র-১ কামাল উদ্দিন খোকন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্যানেল মেয়র উভয় পক্ষকে দলিল পত্রাদি সার্ভেয়ারের নিকট জমা দিয়ে পরিমাপের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বাদী আলাউদ্দিন গং দলিল পত্রাদি জমা দিলেও বিবাদী গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুল তার পক্ষে কোন দলিল পত্রাদি জমা না দিয়ে তর্কিত জায়গায় ইট মজুদ করে রাখে।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, চলাচলের পথে ইট মজুদ রেখে পথ বন্ধ করায় পাশ্ববর্তী খেলার মাঠে কিশোররা ফুটবল খেলে যাওয়ার সময় মজুদকৃত ইট সরিয়ে ফেলে। যেহেতু তরিকুলদের সাথে আলাউদ্দিন-আক্তার-কাইয়ুম গংদের সাথে বিরোধ আছে সেহেতু ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুল মনে করতেছে-ইট আলাউদ্দিন গংরাই সরিয়েছে। যদিও তরিকুল তার ইটের গাঁথুনিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আরো জানা যায়, পৌরসভায় অভিযোগকারী আলাউদ্দিন- আক্তার গংদের আত্মীয় হওয়ায় পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদকে এ ঘটনায় জড়িয়ে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ উদ্ভূত ঘটনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশলও নেয়া হয়েছে। আলাউদ্দিন -আক্তার ও কাইয়ুম গংদের একজন এড. কাইয়ুম পাটোয়ারী বলেন, উভয়ের দলিলে উক্ত হাঁটার চলাচলের রাস্তা স্বীকৃত এবং উক্ত বিষয় নিয়ে পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে- যার নাম্বার- ৪৩৬/২২। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিচারাধীন। ইতিপূর্বে উক্ত বিষয়ে প্যানেল মেয়র-১ অবগত হয়ে নালিশী ভূমি পরিদর্শনও করেছেন। তরিকুল গংকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ না করার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমার আত্মীয়দের সাথে গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তার চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধ আছে শুনেছি। তারা লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় অভিযোগের পর বিষয়টি বিচারাধীন পর্যায়ে রয়েছে। অভিযোগকারী আমার আত্মীয় হওয়ায় আমি নিজেই উক্ত ঘটনায় নিজকে না জড়িয়ে দূরে রয়েছি। তারপরেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রীমহল নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমার কর্মকান্ডের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বায়বীয় অপপ্রচার করছে।