
মো. জিল্লুর রহমান, লাকসাম (কুমিল্লা): যার স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণায় ভাইয়া গ্রুপ আজ একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী বা পরিবার। ২৮ এপ্রিল উনার ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ এর মধ্যে উনাকে অকৃত্রিমভাবে লাকসামের সর্বস্তরের জনগণ ও ভাইয়া গ্রুপ পরিবার স্মরণ করছে।
একটি প্রবাদ আছে “এমন জীবন করিও গঠন মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন” তেমনি মুকসুদ আলী আজ থেকে ১৯ বছর আগে মৃত্যু বরণ করলেও ভাইয়া গ্রুপ তথা কুমিল্লার লাকসাম দপ্রতিটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছে এবং থাকবেন যুগ যুগ ধরে। মুকসুদ আলী একটি নাম নয়, উনি একটি প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তির মৃত্যু হয়, প্রতিষ্ঠানের মৃত্যু হয়না। উনার হাত ধরে সে আশি ও নব্বইয়ের দশকে নাবিস্কো, প্রভাতী ইন্সুরেন্স, ঢাকা ম্যাচ সহ ২৫ এর অধিক শিল্প নিয়ে ভাইয়া গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং উনিই ছিলেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, যা আমৃত্যু তিনি ধারন করে গেছেন। লাকসাম হতে উনার নাম মুছার জন্য অনেকে চেষ্টা করে গেছেন, কিন্তু কেউ সফল হয়নি বরং যারা চেষ্টা করেছেন তারা হারিয়ে গেছেন কালের গর্ভে। যারা লাকসাম কুমিল্লায় মুকসুদ আলীর মুত্যুর পরও জন্ম গ্রহন করেছেন তারাও মুকসুদ আলীর গল্প জানেন, কারন তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি।
স্বাধীনতার পর ভাইয়া গ্রুপ ছিলো বাংলাদেশের শিল্প বিপ্লবের প্রথম দিকের সৈনিক, যা আমার চাচা মুকসুদ আলীর হাত ধরে সৃস্টি ও বিকাশ। উনার হাতে তৈরী ভাইয়া গ্রুপ বাংলাদেশের একমাত্র শিল্প গোষ্টি যা দীর্ঘ ৫৪ বছর তথা আজ পর্যন্ত এদেশে টিকে আছে কোন প্রকার অন্যায় অপবাদ বা অভিযোগ ছাড়া। সকল নিকট দোয়া কামনা করছেন ভাইয়া গ্রুপ পরিবারবৃন্দ উনাকে যেন আল্লাহ পাক বেহেস্তের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং ভাইয়া গ্রুপ যেন জন কল্যানে এবং এদেশের উন্নয়নে সৎ ভাবে ব্যবসা করে আরো শত-হাজার বছর কাজ করতে পারেন।