
আসমা আক্তার সাথী, লোহাগড়া (নড়াইল): নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় যুবদল কর্মী সালমান খন্দকার হত্যা মামলায় নতুন মোড়ের সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিং ও দীর্ঘ নজরদারির পর গণ্ডব গ্রামের নয়ন কাজী (২৭) কে আটক করেছে পুলিশ।
আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নয়ন জানান, সালমান হত্যায় তিনি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া আরও ৬-৭ জন সহযোগী তার সঙ্গে অংশ নেয়। নয়নের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সেভেনগিয়ার তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নয়ন গণ্ডব গ্রামের ভুলু কাজির ছেলে।
অন্যদিকে, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের সূত্র ধরে আটক করা হয়েছিল আড়পাড়া গ্রামের রিয়াজকে। তবে তদন্তে সালমান হত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন রিয়াজ ও সালমানের মধ্যে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত কয়েক দফা কথোপকথন হয়েছিল।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারক বিশ্বাস জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নয়নের স্বীকারোক্তি ও হত্যাকাণ্ডের মূল তথ্য বের করে আনতে সহায়ক হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে রাতে লোহাগড়ার শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী সালমান খন্দকার (২৬) পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
লোহাগড়া থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, নয়নকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।