
যায়যায়কাল ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ওই ফোনালাপে তিনি ‘নিপীড়ক বাহিনী’র বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন বলে দাবি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের।
ইসরায়েল মাচাদোর সঙ্গে নেতানিয়াহুর এ ফোনালাপকে গাজায় তাদের অভিযানের প্রতি তার সমর্থন হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলা হয়, মাচাদো (গাজা) যুদ্ধে ইসরায়েলি নেতার সিদ্ধান্ত ও দৃঢ় পদক্ষেপের গভীর প্রশংসা করেছেন এবং গাজায় জিম্মি মুক্তি চুক্তিরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
যদিও এক্সে নিজের পোস্টে মাচাদো ইসরায়েল বা গাজার প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী শাসক নিকোলা মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শান্তিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছেন মাচাদো।
নিজের ওই পোস্টে খুব সাবধানে শব্দচয়ন করেছেন মাচাদো। তিনি লিখেছেন, ‘ভেনেজুয়েলার মানুষ জানে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে কর্তৃত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য অপরিসীম সাহস, শক্তি ও নৈতিক মনোবল প্রয়োজন।’
মাচাদো আরও লিখেছেন, ‘যেভাবে আমরা ভেনেজুয়েলায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করি, তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশই ভয়ের সঙ্গে নয়; বরং মর্যাদা, ন্যায় ও আশায় পরিপূর্ণ একটি ভবিষ্যৎ গড়ার অধিকার রাখে।’
তবে মাচাদো সরাসরি ইরানের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করেন। ইরানের শাসনব্যবস্থাকে তিনি ‘মাদুরোর শাসনের প্রধান সমর্থকদের একজন’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তারা হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকেও সমর্থন করে।
মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো গত সপ্তাহে মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মাদুরোকে উৎখাতের চেষ্টায় সমর্থন পেতে মাচাদো অতীতে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কট্টর সমালোচক।
ইসরায়েলের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মাদুরোর পূর্বসূরি ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক নেতা হুগো চাভেজ ২০০৮ সালের গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে ২০০৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।