নেত্রকোণা প্রতিনিধি: পেশায় একজন শিক্ষক, শিক্ষকতার পর যে অবসর সময়টুকু থাকে সেই সময় ও বাড়ির আশেপাশের পরিত্যক্ত জায়গা কাজে লাগিয়ে নিজে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন।
পাশাপাশি ছাত্রদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামের শিক্ষক জিন্নাতুল ইসলাম।
ছাত্র অবস্থা থেকে কৃষি ও উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি প্রবল ইচ্ছে ছিল জিন্নাতুল ইসলামের।
মাস্টার্সে পড়া অবস্থায় ২০০৬ সালে পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলেন। গড়ে তুলেন সুফিয়া পোল্ট্রি খামার। তাছাড়া বাড়ির সামনে পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
এবার বানিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন বিজ্ঞান ভিত্তিক বস্তায় আদা চাষ। বাড়ির পাশে পতিত জমিতে উৎপাদন করছেন বিভিন্ন প্রজাতির শাক সবজি।
নেত্রকোণা কৃষি বিভাগের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন পুষ্টি বাগান।
কৃষি এবং প্রাণিজ পুষ্টি চাহিদা পূরণে এবং প্রাক্তন বেকার ছাত্রদের বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে হাতে-কলমে শিক্ষা দিচ্ছেন নেত্রকোণা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। এতে একদিকে যেমন নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করে স্থানীয় চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জিন্নাতুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উদ্যোক্তা জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০০৬ সালে মাস্টার্সে পড়া অবস্থায় উদ্যোক্তা হওয়ার মনোবাসনা থেকে প্রথমে পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলি। সেই সময় পোল্ট্রি সেক্টরের এত ব্যাপকতা ছিল না। ব্রয়লার বাচ্চা ও মাংসের তেমন চাহিদা ছিল না। তার পরের নবাগত প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমি এই সেক্টরে ছত্র জীবন থেকেই কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, এরই মাঝে আমি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হই। আমার অনেক ছাত্র পড়াশোনা শেষ করে যারা বেকার কিংবা নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে। তাদেরকে আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এবং আমার প্রজেক্টে হাতে-কলমে শিখিয়ে দিচ্ছি। যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে। নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি আমার পরামর্শ নতুনরা যেন প্রথমেই বড় অংকের বিনিয়োগ না করে প্রথমে ছোট আকারে শুরু করে। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে প্রজেক্ট বড় করা উচিৎ।