
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি সহ যাদের ওয়েবসাইটের তথ্য এখনো হালনাগাদ করা হয়নি তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
মঙ্গলবার মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এখনো ওয়েবসাইট নাই আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ জুলাই মাউশি’র ইএমআইএস সেল থেকে ওয়েবসাইট তৈরি ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল রুপান্তরের অংশ হিসেবে খন্দকার আইটি দিচ্ছে মাউশি-র নির্দেশনা অনুযায়ী edu.bd ডোমেইন ও হোস্টিং সহ পুর্নাঙ্গ স্কুল ও কলেজ ম্যানেজমেন্ট ওয়েবসাইট। কোনোরকম প্রযুক্তি দক্ষতা ও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট পরিচালনা করা যায়।
এই ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে ১. প্রতিষ্ঠান পরিচিতি। ২.পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি। ৩. শ্রেণি ও লিঙ্গভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য। ৪. শ্রেণিভিত্তিক অনুমোদিত শাখার তথ্য। ৫. পাঠদানসংক্রান্ত তথ্য (শিক্ষকদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ রুটিন, পাঠ্যসূচি, বিবিধ নোটিশ ইত্যাদি)। ৬. এমপিও। ৭. প্রতিষ্ঠানের ফোন বা মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা। ৮. তথ্যসেবা কেন্দ্রের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর। ৯. অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর। ১০. প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য। ১১. ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্য। এছাড়াও রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবকদের আলাদা লগইন করার সুযোগ। ক্লাস রুটিন, রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট, আইডি কার্ড, এডমিট কার্ড প্রিন্ট করা সহ অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট অনুপস্থিতির মেসেজ, ফি ও বেতন কালেকশন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দৈনিক হাজিরার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সহ আরো সুবিধা।
খন্দকার আইটি এর কর্ণধার খন্দকার মো. আলমগীর হোসেন জানান, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজ যেমন সহজ হবে তেমনি মোবাইল রেসপনসিভ হওয়ায় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ ও যোগাযোগ আরো কার্যকর হবে।