বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই ময়লার ভাগাড়, সম্ভব হচ্ছে না পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে পৌরসভার ময়লা ফেলার ভাগাড়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। নাকে হাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ময়লার দুর্গন্ধে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান।

ভুক্তভোগীরা জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা আশপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা ময়লা ফেলে স্তূপ করে রাখে। ফলে দুর্গন্ধ তো আছেই, সেই সঙ্গে ময়লা পরিবহনের ভ্যান আর তাদের ময়লার ডাম্পার গাড়ির কারণে সেখান দিয়ে যান চলাচলও প্রায় অসম্ভব। এ পথে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। প্রতিদিন বাড়ছে এসব ময়লা-আবর্জনার পরিমাণ। বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই ময়লা-আবর্জনার স্তূপের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদেরকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ময়লার ভাগাড়ের ফলে স্থানীয়দের নিয়মিত পড়তে হচ্ছে বড় ধরনের সমস্যায়। স্তূপের দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। যার প্রভাব পড়ছে শিশু ও বয়স্কদের মাঝে।

রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান খান জানান, আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না কারণ ক্লাস চলাকালীন সময়ে দক্ষিণের বাতাসের সাথে ময়লার ভাগাড়ের উৎকট দুর্গন্ধ ক্লাসে আসে ফলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বমিসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি চাচ্ছি আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে।

স্কুল শিক্ষার্থী সাদিয়া জানান, এই রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য, শুধু তাই নই পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ের উৎকট দুর্গন্ধের কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি, কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে যেন অন্য কোথাও ভাগাড়টা স্থানান্তরিত করে।

আরিফ নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, পৌরসভার ময়লার আবর্জনার স্তূপটি সরাতে কর্তৃপক্ষের কোনও ধরনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এখানে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর মধ্যে একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উৎকট দুর্গন্ধের কারণে। দ্রুত এখান থেকে ময়লাগুলো অন্য কোথাও নিয়ে রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান জানান, পচনশীল এ দ্রব্য থেকে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল আহসান খাদেম জানান, আমি নিজেও ভুক্তভোগী। খুব দ্রুত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এটা এখান থেকে অন্য যায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল জানান, আমরা জেলা প্রশাসকের বরাবর খাস জমির জন্য একটা আবেদন করেছি, খাস জমি পেলে খুব দ্রুত এটা সরিয়ে নেওয়া হবে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা জানান, ময়লার স্তূপটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ