
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জে বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের বাসিন্দা সামছুল আলমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ঐদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাত জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সামছুলের স্ত্রী তৃষ্ণা বেগম।
অভিযুক্তরা হলেন, লস্করপুর গ্রামের জোবায়ের এর ছেলে জাহেদ(৩০), জাহেদ এর স্ত্রী পারভীন বেগম(২৫), জোবায়ের এর স্ত্রী জরিনা বেগম(৫০), নুহু মিয়ার ছেলে খোকন(৩০), খোকনের স্ত্রী রোজিনা বেগম(৩০), নিরব এর স্ত্রী সাথী বেগম(২৫), ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের বড়িয়াহাট এলাকার হামিদুল ইসলাম(২৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লস্করপুর গ্রামের সামছুল আলমের বাড়ির পার্শ্বের জমিতে থাকা কলার গাছ থেকে জোরপূর্বকভাবে কলার মোচা কর্তন করেন খোকন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম। সেই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রোজিনা বেগম বহিরাগত লোকজন (অভিযুক্তরা) নিয়ে সামছুলের বাড়িতে হামলা করেন। এসময় তারা লোহার রড, ধারালো চাকু, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাড়ির মেইন গেট ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে এবং হাড়ি-পাতিল ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এসময় তাদেরকে ভাংচুর করতে নিষেধ করলে তারা তৃষ্ণাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। পরে তৃষ্ণা বেগম প্রাণভয়ে আরেকটি ঘরে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে দেন। এসময় মারপিট করতে ব্যর্থ হওয়ায় তৃষ্ণাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখিয়ে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং সময় সুযোগ মতো বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে দাবান শাসান করে।
১নং অভিযুক্ত জাহেদ ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সেখানে তাদের ঝামেলা মেটানোর জন্য যাই এবং উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করি। আমি কোনো ভাংচুর করিনি।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।