মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জে নিজের ক্ষমতা বলে একই স্কিমে অবৈধভাবে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে আইনুল হক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার ময়দাহাট্টা ইউনিয়নের হাটগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিপক্ষের মধ্যে।
আইনুল হক উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের হাটগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলা প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ লাইনের কাজ করছেন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের হাটগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ ২০১২ সালে উপজেলা সেচ কমিটি থেকে লাইসেন্স নিয়ে হাটগাড়ী মৌজায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে কৃষি জমিতে সেচ প্রদান করে আসছেন। তার প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ আইনুল হক উপজেলা সেচ কমিটির লাইসেন্স ছাড়াই পেশি শক্তির মাধ্যমে কালামের স্কিম থেকে মাত্র ৫০০ ফুট দূরে অবৈধভাবে নলকূপ স্থাপন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ করেন। শুধু তাই নয়, আইনুল হক উপজেলা সেচ কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া লাইসেন্স প্রস্তুত করে বিদ্যুৎ সংযোগও করে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, দুই বছর আগে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প থেকে জমিতে সেচ দিতেন তারা। কিছুদিন পূর্বে সৌরবিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপটি বন্ধ হওয়ায় আইনুল তার লোকজন নিয়ে জোর করে কালামের স্কিমের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
আলু মৌসুমে আইনুল হক আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ স্থাপনের কাজ করলে আবুল কালাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থানা পুলিশকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও এখনও বন্ধ হয়নি।
আবুল কালামের ভাই হাদিসুর রহমান নান্নু বলেন, আমার ভাইয়ের নামে নলকূপ স্থাপনের বৈধ লাইসেন্স আছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ আইনুলের কোনো লাইসেন্সই নাই। ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করে একই স্কিমের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। আমরা বাধা দিলেও আমাদেরকে পেশি শক্তির মাধ্যমে দমিয়ে রাখেন। প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় টাকা দিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে।
অভিযুক্ত আইনুলের পিতা মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের নামে আরো ২টি লাইসেন্স রয়েছে। গভীর নলকূপের লাইসেন্স এর কাগজ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হন এবং উত্তেজিত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে অসদাচরণ করেন।
শিবগঞ্জ উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, আইনুল হকের নামে গভীর নলকূপের কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তবে ২০১২ সালে একটি লাইসেন্স ছিলো। সেইটা নবায়ন না করায় তা বাতিল হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযাগটি থানায় পাঠিয়েছি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, এ বিষয়ে এসআই আব্দুর রাজ্জাককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উনি ভালো বলতে পারবেন।
শিবগঞ্জ থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি জানি না।