
মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ইসমোতারা। মামলা করার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন আসামিরা। পরে জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সুবিচার চেয়ে মোকামতলা মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন ইসমোতারা।
মামলার আসামিরা হলেন, মির্জাপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৪৫), আব্দুল মতিন গাছুর ছেলে শিয়াফুল ইসলাম(৩৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার হোসেন দুখু(২২), আব্দুল মতিন গাছুর ছেলে লুৎফর রহমান(৩৮), ইয়াকুব আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন বাবলু(৪৮), আব্দুল মতিন গাছুর মেয়ে তাপুসী(৩২), লুৎফর রহমানের স্ত্রী পারভীন বেগম টুনি(৩২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর গ্রামে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে ইসমোতারা খাতুনের বাবা ইবনে ফজল গাছুর সাথে আসামিদের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সকল আসামিগণ দলবদ্ধ হইয়া ধারালো চাকু, হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ফজল গাছুর বসতবাড়ির সীমানার খুটি জোরপূর্বকভাবে তুলে ফেলে। এসময় ইসমোতারার মা আছমা বেগম ও বড় বোন ফারজানা তাদের খুটি তুলতে বাধা নিষেধ করলে আসামিরা তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে গুরুতর জখম হন আছমা ও ফারজানা। একপর্যায়ে ইসমোতারা আগাইয়া গেলে আসামি আলতাফ হোসেন বাবলু তার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা আছমা ও ফারজানাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে আছমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান জানান, এঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আইনি কার্যক্রম চলমান।