মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জের কাঁচা বাজার গুলোতে আগাম জাতের নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। মৌসুমের শুরুতে বাজারে আলু ওঠায় আকার ও প্রকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। তবে, বেশি দামে আলু কিনেও ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার শিবগঞ্জের মহাস্থান হাটে সোমবার নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৩৮০ টাকা কেজি। আর মোকামতলা, শিবগঞ্জ, গুজিয়া ও কিচকের খুচরা বাজারে সেই আলু ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
মহাস্থান সবজি বাজারে আলু বিক্রি করতে আসা শামীম মিয়া জানান, বগুড়ায় এখনো পুরোদমে নতুন আলু তোলা শুরু হয়নি। কিছু কৃষক অল্প পরিমাণে আগাম আলু রোপণ করেছিলেন, তারাই বাজারে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে কিছু নতুন আলু আসছে। আমদানি কম ও চাহিদা বেশি থাকায় নতুন আলুর দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।
মোকামতলা বাজারে আলু কিনতে আসা ওয়াসীম আহম্মেদ বলেন, ‘নবান্ন আসলে নতুন সবজি পাওয়া যায়। আলু নতুন, শাক-সবজি সবকিছুই নতুন। যেহেতু বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলু নেই, তাই দাম বেশিতেই কিনলাম। তবে, এ ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নাই।
শিবগঞ্জসহ বগুড়ার সব উপজেলায় এখন আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আগাম ধান কাটার পর আলু রোপণ করা হচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে আলু রোপণ। রোপণের ৬০ দিন থেকে আলু উত্তোলন শুরু করেন চাষীরা। আগাম জাতের আলু চাষে প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।
কৃষি অধিদপ্তর বগুড়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারিতে নতুন আলু বাজারে আসবে। এ বছর বগুড়া জেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি থেকে ৪০ হাজার ৫০০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।