
জানা যায়, উপজেলার কলেজ রোড এলাকার একটি বাড়িতে মুন্না (১৭) তার পরিবারের সাথে বসবাস করতো। সে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ১৯ জানুয়ারী (শনিবার) বিকেলে ভ্যান নিয়ে মুন্না বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের পর ২১ জানুয়ারী পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করা হয়। নিখোঁজের পর থেকে মুন্নার খোঁজে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালালেও তার কোন খবর পায়নি।
এদিকে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বিকেলে উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরেরকান্দি এলাকার রেললাইনের পাশে কাশবনের মধ্যে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। লাশের পরনে জিন্স প্যান্ট এবং গায়ে টিশার্ট রয়েছে। স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থলে শিবচর থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌছে সন্ধার পর লাশটি উদ্ধার কাজ শুরু করে। লোক মারফত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নিখোঁজ মুন্নার ভাই মো: সবুজ মৃধাসহ পরিবারের সদস্যরা। লাশটি দেখে মুন্নার লাশ বলে তারা শনাক্ত করেন। নিখোঁজ মুন্না ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শংকরপাশা এলাকার আ: রাজ্জাক মৃধার ছেলে। সে পরিবারের সদস্যদের সাথে শিবচরের কলেজ রোড এলাকায় ভাড়া থাকতো।
নিহত মুন্নার ভাই মো: সবুজ মৃধা বলেন, আমাদের ধারনা ভ্যান চুরির জন্যই আমার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর আগেও একবার মুন্নার একটি ভ্যান চুরি হয়েছিল। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
শিবচর থানার ওসি মো: রতন শেখ বলেন, উদ্ধারকৃত লাশের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। তবে পড়নের পোষাক দেখে নিখোঁজ মুন্নার লাশ বলে পরিবার শনাক্ত করেছে। আমরা লাশটি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছি। মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।