এ এম আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৩ শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।
সোমবার শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে আসা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ. কে. এম. আলিফ উল্লাহ আহসান, শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ এবং রক্তসৈনিক শ্রীবরদী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পিকে এস দ্বীপন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, শ্রীবরদী শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মিয়া, সদস্য সচিব শাহিন মিয়া, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এস এম জাকির হোসেন, চরমোচারিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি তাহসান শাকিল, ভেলুয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কাওছার আহমেদ, ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, “প্রতি বছর আমাদের সংগঠন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে। এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্যও এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের এ মানবিক কার্যক্রম সারা দেশে অব্যাহত থাকবে।”
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু বলেন, “কনকনে ঠান্ডা আর হিম বাতাসে অসহায় মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। রক্তসৈনিকের এই উদ্যোগ তাদের কষ্ট লাঘবের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। সারা দেশের সহযোদ্ধারা এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। সবাইকে অনুরোধ, যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।”
শীতবস্ত্র পাওয়া এক গ্রামীণ বৃদ্ধ ফজু মিয়া বলেন, “আমরা পাহাড়ের পাশে থাকি, শীত বেশি লাগে। আগে কেউ আমাদের কম্বল দেয়নি। এইবার রক্তসৈনিকের বাবারা কম্বল দিয়েছে। এখন আরামে ঘুমাতে পারব।”
জমেলা বেগমসহ আরও কয়েকজন সুবিধাভোগী বলেন, “রাতে ঠান্ডায় অনেক কষ্ট হচ্ছিল। রক্তসৈনিকের দেওয়া শীতবস্ত্র পেয়ে আমরা অনেক উপকার পেয়েছি। এই শীত আর সহনীয় হবে।”
উল্লেখ্য, রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।