মঙ্গলবার, ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শেরপুরে সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ঘেরাও

এ এম আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর: শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় আশা আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বিকেলে শহরের নারায়ণপুর এলাকায় শেরপুর এভারকেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত প্রসূতি সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার মো. জাহিদ হাসানের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী।

এদিকে প্রসূতির মৃত্যুর পর এভারকেয়ার হাসপাতাল ঘেরাও করেন রোগীর স্বজনরা। এসময় হাসপাতালের কেচিগেইট তালাবদ্ধ করে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার।

মৃত রোগীর স্বজনরা জানান, গর্ভবতী আশা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শুক্রবার শহরের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা শনিবার দুপুরে ডা. লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে আশার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়, যেখানে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছিলেন ডা. মুহাম্মদ জস মিয়া। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশার স্বজনকে জানায়, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে আশাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোগীর ফুফু হালিমা বেগম বলেন, আমার ভাতিজিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ডা. লুৎফর রহমান অবহেলা করে মেরে ফেলেছে। আমার সুস্থ্য ভাতিজি হেঁটে হেঁটে অপারেশন কক্ষে প্রবেশ করেছিল। আমরা এর বিচার চাই। মৃত প্রসূতির বড় ভাই মো. অপূর্ব বলেন, আমার বোন আশা একজন সুস্থ মানুষ ছিল। এটা ছিল আশার দ্বিতীয় বাচ্চা। সিজারের সময় চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে। আর এতেই আমার বোনকে হারালাম। আমার বোনের একটা ছেলে সন্তান আর সদ্যোজাত মেয়ে সন্তান মা হারালো। আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ ঘটনাস্থলে এসেছি। এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *