
যায়যায়কাল প্রতিবেদক: নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একতার রাজনীতি চালু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ আশা প্রকাশ করেন।
হাসনাত বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দেড় দশক আওয়ামী জাহেলিয়াতের শাসনের পর আজ মুক্ত হয়েছি। দীর্ঘ দেড় দশক দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি। ভারতীয় আগ্রাসনে বিডিআর সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরে আমাদের ভাইদের ওপর রাতের অন্ধকারে জেনোসাইড চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন রাতের ভোট, দিনের ভোট চালু করার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আমরা আওয়ামী দুঃশাসনের কবর রচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, এই সংসদে কে যাবে তা নির্ধারণ করবে দেশের খেটে খাওয়া জনতা, এই ভূখণ্ডের মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময়ে আমরা জাতি গড়ে তুলতে পারিনি, সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি, স্বাধীন পুলিশ-বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারিনি। বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করা হয়েছে।’
‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই যে আমরা স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব। আমরা বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একতার রাজনীতি চালু করব,’ যোগ করেন হাসনাত।
এর আগে, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর পর শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে ওঠেন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেনসহ দলটির নেতারা।
মঞ্চে তাদের সঙ্গে ছিলেন সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সামান্তা শারমিন, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
তারা মঞ্চে বসে থাকা অবস্থায় স্ক্রিনে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, ত্রিপিটক, বাইবেল থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় মঞ্চ ও দর্শকসারিতে উপস্থিত অতিথি ও জনতা দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান।
এরপর জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও কূটনীতিকরা।