
জাহাঙ্গীর আলম শাহিন: সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শওকত আলী ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সড়ক ও জনপদের ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শওলত আলী জামালপুরের পোগল দিঘা ইউনিয়নের একসময়ের বিবাহ রেজিস্ট্রার মো. আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ময়মনসিংহ জোনের সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শওকত আলী সড়ক বিভাগে চাকরিতে যোগদানের পরেই মরিয়া হয়ে ওঠেন অবৈধ সম্পদ অর্জনের লক্ষ্যে। অতিরিক্ত কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়াই তার প্রধান উদ্দেশ্য। এভাবে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে অল্প দিনেই শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন বলেও জানা যায়।
মো. শওকত আলীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের সংক্ষিপ্ত তথ্য: তিন বিঘা জমির উপরে এম এ সাত্তার মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন তার পিতার নামে। ৪০ হাজার টাকা হারে ৯৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে পিতার নামে কলেজ তৈরি করেছেন। কলেজের পাশে হাসপাতাল বানানোর লক্ষ্যে চরগাছ বয়ড়া, পোগলদিঘা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর জেলায় প্রায় ৩ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। চর বয়ড়া ধান হাঁটিতে দ্বিতল আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এছাড়াও গাড়ি ও ব্যাংক ব্যালেন্স বাদ দিলেও ঢাকাতে একটি আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন। যে বাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
তাছাড়াও এলাকাবাসীর কয়জনের সাথে কথা বলে জানা যায় মো. শওকত আলী সওজে চাকরি করার পর থেকে এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চর বয়ড়া ধানহাটির কয়েকজন বয়স্ক লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো: শওকত আলী সরকারি চাকরিতে যোগদানের কিছুদিন পরেই এলাকায় জমি কেনা শুরু করেন। তার এলাকায় কোনো ব্যক্তি জমি বিক্রয় করতে চাইলে মো. শওকত আলী থাকেন প্রথম সারিতে। তার কথা একটাই, ‘দাম যতই হোক না কেন জমি আমার চাই’। এভাবে অবৈধ আয় দিয়ে মো. শওকত আলী তার এলাকায় গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা জানতে সড়ক ও জনপদের ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শওকত আলীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।












