
মো. মাইনউদ্দীন, সন্দ্বীপ: ১৫টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সন্দ্বীপ উপজেলা। এখানে ৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষের বসবাস।
সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে উপজেলার মানুষকে প্রতিদিন নানান কাজে যেতে হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। দ্বীপের চারপাশে ৮/১০ টি ঘাট থাকলে ও ৯৫ ভাগ মানুষের কুমিরা গুপ্তছড়া ঘাট ব্যবহার করেন।
এ ঘাটে ২০১০ সালে ১৫ কোটি টাকা জেটি, ২০১৭ সালে ৪৭ কোটি টাকার জেটি, বার বার নদী খনন, জেলা পরিষদের ইজারাদার কর্তৃক বার বার কাঠের সেতু দেয়া হলেও কোনটি যেন দুর্ভোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সন্দ্বীপের মানুষের। ঘাট ব্যবহারে দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী।
গতকাল শনিবার সকাল ৭ টায় গুপ্তছড়া ঘাটে দেখা যায় কোমড় পানিতে নেমে যাত্রীদের উঠানামা করতে হচ্ছে নৌযানে।
যাত্রীদের দাবি, দেশীয় এক্সপার্ট টিম দিয়ে না হলে বিদেশি এক্সপার্ট টিম দিয়ে হলেও সন্দ্বীপের নৌ রুটের উঠানামার বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা। বিকাল ৫টায় সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা গুপ্তছড়া ঘাটে সেতু পরিদর্শন করেন।
দেখা যায়, ড্রাম দেয়া সেতু জেটির সাথে সংযুক্ত নেই। জোয়ারে অনেক দূর চলে গেছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক গোপাল চন্দ্র মজুমদার বলেন, ড্রামের কোনো কাজ আমাদের নয়। আমাদের কাজ জাহাজ চালানো।
বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, ড্রামের সেতু নয়। পল্লী পাইলিং করে দেয়া হবে। ড্রামের যেটা করা হয়েছে সেটা ইজারাদার নিজ উদ্যোগে করেছে। সে জনস্বার্থে তার মতো করে করছে। আমার পাইলিং চলে গেছে। কাল থেকে আমাদের কাঠের সেতুর্ কাজ শুরু হবে। তবে কত টাকা ব্যয় হবে সেটা আমার জানা নেই। এটা ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্ট জানে।