মো. মাইনউদ্দীন, সন্দ্বীপ: সন্দ্বীপে মৎস্য বিভাগের অভিযানে ১০টি জাল ধ্বংস করা হয়েছে। মৎস্য অভিযান বাস্তবায়নে সন্দ্বীপে গুপ্তছড়া কুমিরা ঘাট ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে থেকে মৎস্য বিভাগের অভিযানে ৬টি মশারি জাল ও ২টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা ও কেটে দেয়া জালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সরকার চলতি বছর ১৩ অক্টোবর হতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশসহ যে কোন প্রজাতির সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ১৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার গুপ্তছড়া কুমিরা সন্দ্বীপ চ্যানেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল, এসময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সন্দ্বীপ স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সদরুল হক, পিও( আর) কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোনায়েম, সুজন ও জাহিদ, সাংবাদিক ইলিয়াছ সুমন। এছাড়াও উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারীবৃন্দ এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বলেন, সাগরে ২২ দিন ইলিশসহ সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকার কার্যক্রম অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়াও নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এমন সকল জাল/বয়া অপসারণ করা হচ্ছে। আশা করছি এখন থেকে সকল নৌযান দিনে/রাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বুধবার আমরা কুমিরা-গুপ্তছড়া সন্দ্বীপ চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে ৮টি মশারি জাল ও ২টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করেছি। পরে জালগুলো পুড়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত জালের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা। এছাড়া আমরা কোস্টগার্ড কয়েকটি জোনে দায়িত্ব দিয়ে ছোট বড় ৩০টি জাল কেটে ফেলা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।