
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মিজান ওরফে কেটু মিজানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান শনিবার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রাজধানীর তুরাগ থানা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, স্বাধীন, আলামিন, সুমন, পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে ফয়সাল হাসান ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর (অনন্তপুর) গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহ জালাল।
অতিরিক্ত কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে শুরু করে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া আলামিনকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে গাজীপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার মসজিদ মার্কেটের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৪০) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে সাংবাদিক তুহিনের সঙ্গে ৪-৫ জন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তুহিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।