
নুরুল ইসলাম সবুজ, (সাতকানিয়া) চট্টগ্রাম : সাতকানিয়ায় একটি গ্রামীণ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে চলমান বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বারবার সংস্কারের দাবি তোলা হলেও এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি কেউ। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তারা। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, দ্রুত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা কেঁওচিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও ছদাহা কেঁওচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বের সড়কটি শিক্ষার্থী ও কয়েকটি গ্রামের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির বিশাল অংশ ভেঙে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। তখন থেকে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সড়কটি কাঁচা হওয়ায় চলমান বর্ষায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় সোলতান মোহাম্মদ শওকত আলী জানান, বিছিন্যা পাড়া, ফজুর পাড়া ও নয়াপাড়া এলাকার ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের প্রধানতম সড়কটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এক বছর হতেও চললেও সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। যার কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অতিদ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
স্থানীয় মো. সিরাজ বলেন, গতবারের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংস্কারকাজ না হওয়ায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। হেঁটে এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষেরও নাভিশ্বাস ওঠে যায়।
সাহাব উদ্দিন নামের একজন বলেন, বন্যার ক্ষত এখনো রাস্তায় ভাসছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কারকাজ না হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে।
এ বিষয়ে ছদাহা ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শেুদর রহমান বলেন, শুক্রবার আমি পরিদর্শন করেছি। রাস্তাটি কিছু দিনের মধ্যে সংস্কার এর কাজ করা হবে। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ছদাহায় অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে গেছে। প্রত্যেকটি ভাঙা সড়ক সংস্কার করেছি। আগামি বাজেট এই সড়কটির কাজ আরম্ভ করা হবে।
২নং ওয়ার্ড মেম্বার তহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তার যাতায়াতের জন্য নিজস্ব অর্থায়ন হলেও যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।