বুধবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ বরাদ্দের টাকা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, প্রতি বিদ্যালয় থেকে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত কর্তন করা হয়েছে। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, স্লিপের টাকা সরাসরি বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। এখানে নগদ টাকা ভাগাভাগির কোন সুযোগ নেই।

জানা গেছে, জেলার ১ হাজার ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানুয়ারি থেকে জুলাই এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর- এই দুই কিস্তিতে স্লিপের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসংখ্যা অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য এ টাকা ব্যবহার করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ৫০- ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও, বেশির ভাগ বিদ্যালয় পেয়েছে গড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহাণের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

কালিগঞ্জ উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রথম কিস্তিতে ২৮ হাজার আর দ্বিতীয় কিস্তিতে ১২ হাজার টাকা পেয়েছি। মোট ৪০ হাজার টাকার বেশি কেউ পায়নি। অথচ কাগজে লেখা আছে ৫২ হাজার।’ তালা, দেবহাটা, কলারোয়া, আশাশুনি, শ্যামনগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, আগের ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না।’

তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কলারোয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘যাদের শিক্ষার্থীসংখ্যা কম, তারা পেয়েছে ১৫ হাজার, আর বেশি হলে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা।’

দেবহাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘খাতা না দেখে নিশ্চিত বলতে পারব না।’

শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, ‘আমরা ৫০, ৭০ ও ৯০ হাজার টাকার তিন ধরনের বরাদ্দ দিয়েছি শিক্ষার্থী অনুযায়ী। আমার অফিস থেকে টাকা বিতরণ হয়নি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে বিদ্যালয়ভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের নামসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ