রবিবার, ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরা সিটি কলেজ কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক সাময়িক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ মোঃ শিহাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ এবং স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ব্যাপক তদন্ত শুরু হচ্ছে।

আগামীকাল ৪ আগস্ট সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে। তদন্ত বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

অন্যান্য সদস্যরা হলেন জেলা প্রশাসকের মনোনীত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাজুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডা. মিনহাজ আহমেদ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ আরিফ হোসেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে এবং স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর জেলায় এটি হচ্ছে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বিভাগীয় তদন্ত। শিক্ষা সচেতন মহল এবং অভিভাবকদের প্রত্যাশা, এই বোর্ডের মাধ্যমে শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন দুঃশাসন চালানো পলাতক অধ্যক্ষ শিহাবউদ্দিন চরম শাস্তি ভোগ করবেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে মোঃ শিহাবউদ্দিন কলেজের সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর চরম স্বৈরাচার চালিয়েছেন। শিক্ষকদের একযোগে মত প্রকাশ করায় তিনি প্রায় ৫৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ ইস্যু করেন। এমনকি শিক্ষক ও অভিভাবকদের তার কক্ষে প্রবেশের আগে জুতা খুলে ঢোকার নির্দেশও ছিল। তাঁর সময় কলেজে কোনো ধরনের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বই যেমন ক্যাশবই, কলমনার বই ইত্যাদি রক্ষিত হতো না।

প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ভয়ংকর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির আশায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান-এর নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষক ও কর্মচারীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ০৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি পত্রের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয় তদন্ত বোর্ড গঠনের মাধ্যমে অধ্যক্ষ শিহাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। তদন্ত কার্যক্রমকে ঘিরে জেলার শিক্ষা মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করে যিনি বছরের পর বছর কর্তৃত্ব চালিয়েছেন, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই হতে হবে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক বার্তা।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ