
রহিদুর রহমান মিলন, সারিয়াকান্দি (বগুড়া): “শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস-২০২৫ (মে দিবস) যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা।
বৃহস্পতিবার সকালে সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুরো র্যালি ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে ভরপুর।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। তাদের পরিশ্রম, ত্যাগ ও নিষ্ঠার কারণেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের সম্মান, ন্যায্য অধিকার ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ব।”
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, “১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি এবং ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে যে সাহসী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, তা আজও পত্রিকার সাথে তো সম্পর্ক না শ্রমজীবী মানুষের প্রেরণার উৎস। বর্তমান সরকার শ্রমিকদের অধিকারকেউ কারো অধীনে কিন্তু চলে আমাদের ভিতরেই আছে আবার নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক ও সম্মিলিত প্রয়াসে গড়ে উঠবে গল্প আছে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ।”অন্যান্য বক্তারাও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদানের ওপর জোর দেন। তাঁরা বলেন, শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করলেই দেশ সমৃদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠানটি ছিল আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা ও সম্মানের আবহে পরিপূর্ণ। সার্বিক আয়োজনে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
এদিন কর্মসূচির মাধ্যমে সারিয়াকান্দির মানুষ শ্রমজীবী জনগণের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালনে যে সচেতনতা ও অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।