
স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২ শতাধিক গ্রাহকের জমাকৃত প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে একটি নামসর্বস্ব এনজিও।
রবিবার থেকে হাটিকুমরুল এলাকায় অবস্থিত সৌদিবাংলা ইনভেস্টমেন্ট ফাউন্ডেশন নামক ওই এনজিও’র জোনাল ও রায়গঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় শাখা কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকরা টাকার জন্য ভিড় করেন। পরে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা নামসর্বস্ব এনজিওর কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। জানতে পেরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ এসে অবরুদ্ধ থাকা কর্মীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, স্থানীয় হারুনর রশিদ বাদশা ও সাইদুর রহমান নামে দুই ব্যক্তির পরিচালনায় দেড় মাস আগে উপজেলার সলঙ্গা, উল্লাপাড়া ও শেরপুরের কয়েকটি স্থানে ওই এনজিওর কয়েকটি শাখা অফিস খোলা হয়।
এরপর স্থানীয় কিছু বেকার লোকজনকে মাঠকর্মী নিয়োগ দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চলতে থাকে। গতকাল রবিবার বিকেলে শেরপুর এলাকা থেকে ৫-৬ জন গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়ে জোনাল কার্যালয়ে আসেন।
মূলত তখনই এলাকার গ্রাহকরা এনজিওর প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন। অভিযুক্তরা এর আগেও ভিন্ন নামে এনজিও খুলে টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
ভুক্তভোগী ফজলুল হক জানান, হাটিকুমরুলের ওই ভবনে দেড় মাস আগে এনজিওটির অফিস করেছে। ৯০ হাজার টাকা লোন প্রাপ্তির আসায় ১৫ দিন আগে ৪০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন দেখছেন এনজিওটি ভুয়া। তারা গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
সলঙ্গা থানার ওসি তদন্ত জানান, ‘সংবাদ পেয়ে ওই এনজিওর অফিসে থানা পুলিশ গিয়েছিলো। প্রতারিত গ্রাহকদের শান্ত করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে আমি মাত্রই জানলাম। ভুক্তভোগীদের কেউ লিখত অভিযোগ জমা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, একজন বাড়ির মালিক যদি কোন বাড়ি ভাড়া দেন তাহলে অবশ্যই তাকে ভোটার আইডি কার্ড ও চুক্তি পত্র করে তাকে ঘর ভাড়া দিতে হবে। আর এনজিও প্রতিষ্ঠানের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনিয় কাগজপত্রসহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট যোগাযোগ করতে হবে।