
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলা কৃষকরা ক্ষিরা উৎপাদনে জন্য গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাড়াশের মাটি ও আবহাওয়া ক্ষিরা চাষের উপযোগী, তাই ব্যপক ভাবে ক্ষিরা চাষ হচ্ছে এখানে। এছারাও ক্ষিরা চাষ অন্য ফসলের চেয়ে লাভ জনক হওয়ায় কৃষকেরা এই আবাদের দিকে ঝুকছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুড়িয়া, দিয়ারপাড়া, তালম, নামো সিলেট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, আয়াস, বিয়াস ও রানীদিঘী গ্রামের মাঠের পর মাঠ ক্ষিরার আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে ক্ষিরা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের চেয়ে ৩০ হেক্টর বেশী। তবে এই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করবে।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক মোতালেব জানান, ক্ষিরা চাষে লাভ পাওয়ায়, তারা ক্ষিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। তার মতো অনেকেই এখানে ক্ষিরা চাষ করছেন। লাভ জনক হওয়ায় এলাকায় ক্ষিরা চাষের জন্য জমি লিজই পাওয়া যাচ্ছে না। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন। রানীদিঘী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে ক্ষিরার চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার মতো, সব কিছু ঠিক থাকলে এবং বাজার ভালো থাকলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষিরা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। ক্ষিরার জমিতে প্রচুর শ্রম দিতে হয় তাই বেশী আবাদ করতে পারি নাই। তাড়াশে ব্যাপক ক্ষিরা উৎপাদন হওয়ায় সুবাদে তাড়াশ উপজেলার দিঘুড়িয়া, রানীর হাট, কোহিত, বিনসাড়া, বারুহাঁস সহ কমবেশি ৮-১০টি গ্রামে প্রতি বছর গড়ে উঠে অস্থায়ী ক্ষিরা বিক্রির মৌসুমি হাট। সবচেয়ে বড় হাটটি বসে দিঘুড়িয়া গ্রামে। এসব হাটগুলো থেকে ক্ষিরার মৌসুমে প্রতিদিন শতাধিক ক্ষিরা ভর্তি ট্রাক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, পাবনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যায়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুলাহ আল মামুন জানান, তাড়াশে ক্ষিরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। তাড়াশ উপজেলার জমি ক্ষিরা চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন ক্ষিরা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে ক্ষিরা চাষে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিয়ে সহযোগীতা করে থাকি।