মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সীতাকুণ্ডে টিকটকার স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

মো: রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর মুন্সি মিয়ার বাড়ির আবদুল কাদের এর ছেলে মোহাম্মদ দিদারের বিরুদ্ধে পরকীয়া, নির্যাতন, যৌতুক দাবির অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সাজেদা বেগম (২৪)।

সাজেদা সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত বদিউল আলমের মেয়ে।

জানা যায়, দুজনের বিয়ে হয় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ। এরপর থেকেই দিদার যৌতুক দাবি করে আসছেন। এক লাখ টাকা দেওয়ার পর স্বামী দিদার বিয়ের নয় মাস পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাযন। বিয়ের পর থেকে স্বামী দিদার বাপের বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে কোনো ভরণ-পোষণ দেয়নি এবং কোনো যোগাযোগ করেনি। স্বামী দিদার সাজেদাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে শুধু খাওয়া-দাওয়া ছাড়া আর কোনো চাহিদা পূরণ করেনি। উল্টো আরো টাকা আনার জন্য স্ত্রী সাজেদাকে নির্যাতন করতেন।

সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার নির্যাতিত সাজেদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে করে স্বামীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।

সাজদো বেগমের অভিযোগ, গত রোজার মাস থেকে আমার স্বামীর সঙ্গে টিকটকের একটি মেয়ের পরিচয় হয়। যার নাম রিপা মনি (২৬)। বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদে। এরপর থেকে সে রিপা মনির সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। আমি তাকে বুঝাইতে চাইলে সে আমাকে মারধর শুরু করে এবং সে আমাকে বলে এসব মেনে থাকতে পারলে থাক, না থাকলে তুই তোর রাস্তা ধর। আমি কোনো ধরনের পথ না দেখে রিপা মনিকে ফোন করে বুঝানোর চেষ্টা করি। সে বলে, আমি তাকে বিয়ে করবোই, তুমি পারলে কিছু করো। রোজায় একদিন রাত দেড়টায় আমার স্বামী আমাকে মারধর শুরু করে। আমি চিৎকার দিয়ে আমার স্বামীর বড় বোন জুলি আক্তারকে ডাক দিলে সে আমার গলা টিপে ধরে। সে আমাকে আমার বাপের বাড়ি থেকে তুলে আনার পর থেকে এমন দিন যায়নি যে সে আমাকে নির্যাতন করেনি। আমার শ্বশুরকে (আব্দুল কাদের) এসব বিষয়ে জানালে বললে তিনি ছেলেকে বকা না দিয়ে উল্টো আমাকে ভর্ৎসনা করেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, সে যেখানেই যাক বাড়িতে চলে আসতো। এমনকি আমার জুলি আক্তার বলে, ভাইয়া কি কোন মেয়ের সাথে চলে যাচ্ছে। তাদের কারণে এবং পরকীয়া রিপা মনির কারণে আজ আমাকে অসুস্থ করে তুলেছে এবং আমার জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। আমি আমার স্বামীকে এই পরকীয়া থেকে ফিরে আনার দাবি জানাই ও টিকটকার রিপা মনিকে সরে যেতে আহবান জানাই। আমি তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি। বর্তমানেও আমার স্বামী দিদার টিকটকার রিপাকে নিয়ে কক্সবাজারে আছে জানতে পারি।

সাজেদা বেগম আরও বলেন, আমার স্বামী দিদার আবুল খায়ের কোম্পানীর চোরাই লোহা কিনে ব্যবসা করে, তার এখন ভালো ইনকাম। তাই একাধিক পরকীয়া করে টাকা খরচ করছে। তার মা-বাবাও তাকে সহযোগিতা করছে। আমার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে না পেয়ে আমার বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা দিয়েছে। আর টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই। তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিচার চাইছি।

এদিকে সাজেদার স্বামী দিদার হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রিপার সাথে যোগাযোগ, সম্পর্ক আমার স্ত্রী মেনে নিতে পারছে না। আমিতো তাকে ছেড়ে দেইনি। যৌতুক চাইনি, মারধর করিনি, তবে কিছু ঝগড়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ