শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন 

মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসদরের  অবস্থিত উপজেলা সুপার মার্কেটে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত রবিবার বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী এখলাছ উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজাদ ও রফিকুল ইসলাম। এ তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গত শনিবার বিদ্যুৎ চুরির ঘটনাটি জনসম্মুখে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। ঘটনাটি মুহূর্তে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবীও তুলেন।
এবিষয়ে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বাড়বকুণ্ড অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হক বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা সুপার মার্কেটে বিদ্যুৎ চুরির তথ্য পেয়ে আমরা সাথে সাথে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করি। এবিষয়ে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, সীতাকুণ্ড উপজেলা সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় মিটারবিহীন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেন সেকান্দার হোসাইন নামে এক ব্যক্তি। এরপর সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবকে ওই ঘরটি ভাড়া দেন তিনি। নিজেও অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন একটি বৃহৎ অংশ। দশ বছর পর সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব ঘরটি ছেড়ে দিলে সেখানে লিনাজিস নামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ভাড়া দেয়া হয়। একই সাথে পূর্বের ন্যায় বৃহৎ অংশটি তার অফিস হিসাবে অদ্যবদি ব্যবহার করছেন। যেখানে এসিসহ অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অকপটে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গত শনিবার (২১ জুন) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বাড়বকুণ্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রকৌশলী আবু ছালেহ ও প্রকৌশলী রিপন। তারা সরেজমিনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন। এসময় তারা ২শ মিটার সার্ভিস তার জব্দ করেন। উক্ত স্থাপনাটি ১৫ বছর আগে নির্মিত হয়। এরপর হতে অদ্যবদি স্থাপনাটিতে বৈদ্যুতিক মিটার লাগানো হয়নি। এক হিসাবে দেখা যায়, ১৫ বছর মিটারবিহীন অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেকান্দার হোসাইন সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন আনুমানিক তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অদ্যবদি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *