
মো: রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): “সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সীতাকুণ্ড পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টা থেকে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা এবং ত্রিপিটক হতে পাঠ করা হয়।
এতে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃকমল কদর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা তৌহিদুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য ইউছুপ নিজামী, জসিম উদ্দিন,জেলা মহিলা দলের সেক্রেটারী নার্গিস আক্তার, সীতাকুণ্ডের প্রিন্ট মিডিয়া ও টেলিভিশনের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক কাউন্সিলর রায়হান উদ্দিন, মো. সেলিম উদ্দিন, মহিলা কাউন্সিলর ও পেইভ নেত্রী মাসুদা খায়ের প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে পিএফজির পিস এম্বাসেডর শামসুল আলম আজাদ এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপিএস প্রজেক্ট, ঢাকা ক্লাস্টার এর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর রাসেল আহমেদ। তিনি উক্ত সংলাপে প্রেজেন্টেশন এবং ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং মন্দিরের পুরোহিতগণ,ভান্তে, তরুণ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা সভায় বক্তারা মুসলমান, বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতসহ সম্প্রীতি বজায় রাখার উপর মতামত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা আরও বলেন, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একটি শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা।বিশ্বের বুকে একটি উন্নত,সমৃদ্ধ ও মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আমাদের প্রিয় স্বদেশকে গড়ে তুলতে চাই।গড়তে চাই একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ যেখানে প্রতিটি মানুষ থাকবে নিরাপদ,প্রত্যেকের ধর্ম,সংস্কৃতি বা বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে মর্যাদার সাথে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন নিশ্চিত হবে। আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠান থেকে সকল অংশগ্রহণকারী ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ মুক্ত সামাজিক সম্প্রীতির সীতাকুণ্ড গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সবশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ স্বাক্ষর করেন।