মীর আমান মিয়া লুমান, স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের ছাতকে উত্তর খুরমা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার বিকেলে উপজেলা ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের পৃথক ব্যানারে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জালালপুর এলাকায় মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের শাহ পরান (রহঃ) থানায় নাশকতার একটি মামলায় গেল ৩ অক্টোবর সিলেট র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চেয়ারম্যান বিল্লাল।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, মৈশাপুর গ্রামের নিহত ফারুকের চাচা আব্দুর রহমান, ছোট ভাই আকিক মিয়া, জমির আলী, প্রবাসী কবির মিয়া, সাবেক মেম্বার সায়াদ আহমদ, আকবর আলী, জামাল মিয়া, মুজিবুর রহমান সহ আরও অনেকেই।
বক্তব্যে তারা বলেন, ২০১৮ সালে ২১ জুন উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের পুরান মৈশাপুর গ্রামের মৃত মাস্টার আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়াকে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের নেতৃত্বে খুন করে গ্রামের পাশে পাতলাছুরা বিলে লাশ গুম করে রাখে। পরদিন ওই বিল থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিল্লাল চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে অসহায় হয়ে নিহত ফারুকের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদি হয়ে বিল্লাল চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা সিলেট পিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলার প্রধান আসামির নাম বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। এরপর বাদী আদালতে নারাজি দিলে ফের মামলাটি তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্তাধীন রয়েছে। ফারুক হত্যা মামলায় বিল্লাল আহমদের ফাঁসির দাবি এবং পাশাপাশি তার অনিয়ম-দূর্নীতিসহ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামছুল ইসলাম খান, আছদ্দর আলী, আবদুর রহমান, আপ্তাব আলী, ছায়াদ মেম্বার, ফারুক আহমদ, কবির মিয়া, আকবর আলী, আবদুর রহিম, সাহেদ মিয়া, আবদুল করিম, জমির আলী, সমর আলী, ময়না মিয়া, আলা উদ্দিন, ফজলুর রহমান, উমরিত মিয়া, কাজল মিয়া, গৌছ উদ্দিন, ছায়েম মিয়া, রাজা মিয়া, মামুন মিয়া, সাকিন মিয়া, নাহিদ মিয়া প্রমুখ।