শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনে ৩৯ হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার

খুলনা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত সুন্দরবনে মিলছে বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ। দুদিনে ৩৯টি হরিণের এবং একটি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বনবিভাগ।

রেমালের আঘাত কাটার পর সোমবার প্রথম দুটি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ২৪টি এবং দুপুরের দিকে আর ১৩টি হরিণের মৃতদেহ নদী দিয়ে ভেসে আসে।

এ সময় ভেসে আসা আরও আটটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এভাবে একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের জামতলা এলাকা থেকে ভেসে আসা মৃত ২৪টি হরিণ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, দুপুরের দিকে সুন্দরবন করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্র এলাকার সামনের পশুর নদী থেকে আরও ১৪টি প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি হরিণের এবং একটি শুকরের। উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনে গহীনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো ভেসে গিয়ে সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছি।

বনসংরক্ষক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদীখাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ ফুটের উপরে। ওই পানি দেখে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীকূলের মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম। দুইদিনে ২৬টি হরিণের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এতে বনবিভাগ উদ্বিগ্ন।

মৃত হরিণগুলো কটকাতে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। আর জীবিত হরিণ বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বনবিভাগ।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারের পানিতে রোববার থেকে দফায় দফায় সুন্দরবনের বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময়ে বাগেরহাটের প্রধান প্রধান নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ