বুধবার, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

সৃজনশীলতা হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর জ্বালানিস্বরূপ : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সৃজনশীলতা হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর জ্বালানিস্বরূপ। সৃজনশীল শিল্পের ধারণা তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও এ শিল্পের অর্থমূল্য বৈশ্বিক জিডিপির ৩.১%। এতে বিপুল সংখ্যক যুবকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এ শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে যা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করে। সৃজনশীল অর্থনীতি সৃজনশীল পণ্য-পরিষেবা, শিল্প-সংস্কৃতি, ধারণা, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ এবং প্রযুক্তির বাণিজ্যকে সহজতর করে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল (২৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে মেক্সিকো সিটির Los Pinos এর Cancha de tenis (Tennis Court) কনফারেন্স ভেন্যুতে তিন দিনব্যাপী (২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২) “UNESCO World Conference on Cultural Policies and Sustainable Development, Mondiacult 2022” কনফারেন্স এর দ্বিতীয় দিনের প্যারালাল সেশন-২ -এ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে “The Future of Creative Economy” শীর্ষক থিমেটিক সেশন-৪ -এ বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। সেশনটিতে মডারেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন Inter-American Development Bank (IADB) এর Creativity and Culture এর ইউনিট প্রধান চিলির Trinidad Zaldivar। ইউনেস্কো কর্তৃক ২০২০ সালে “সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার” প্রবর্তনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির পিতার নামে নামকরণ করা এ পুরস্কার সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্পে আগ্রহী তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে মর্মে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, সৃজনশীলতা টেকসই মানব উন্নয়নের জন্য একটি স্বীকৃত নবায়নযোগ্য সম্পদ। আর তরুণরাই এর প্রধান চালিকাশক্তি ও সৃজনশীল অর্থনীতির ভবিষ্যতের পতাকাবাহী। ডিজিটাল মাধ্যমে সংস্কৃতি চর্চায় দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, এখন ডিজিটাল ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে। অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক মানুষের নিকট সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারে এটি অন্যতম মাধ্যম। তবে এর একটি খারাপ দিকও রয়েছে যদি না এটিকে নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রচার করা হয়। প্রতিমন্ত্রী এসময় বহুজাতিক ও বহুমাত্রিক সংস্কৃতির সুরক্ষা ও প্রসারে সৃজনশীল অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস, দায়িত্বশীল সাংস্কৃতিক অনুশীলন ও প্রচার এবং সৃজনশীল কনটেন্টের নিয়ন্ত্রিত লেনদেন এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা থেকে সংস্কৃতিকে বাদ দিলে আমরা এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। তিনি উপস্থিত সবাইকে সৃজনশীল অর্থনীতির নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও নিয়ন্ত্রিত ভবিষ্যতের জন্য একযোগে কাজ করার আহবান জানান। সেশনটিতে ইউনেস্কো’র সদস্য ও সহযোগী সদস্য দেশসমূহের মন্ত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি ছাড়াও জিবুতির যুব ও সংস্কৃতি মন্ত্রী Moumin Assoweh Hibo, সেইন্ট লুসিয়ার পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি Guibion Ferdinand, টোঙ্গার কালচার ডিভিশনের পরিচালক Pulupaki ‘A Siuilikutapu Moala Ika, সেন্ট মার্টিনের শিক্ষা, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী Rodolphe E. Samuel সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ভিডিও মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন মাদাগাস্কারের যোগাযোগ ও সংস্কৃতি মন্ত্রী Lalatiana Andriatongarivo Rakotondrazafy, মন্টিনেগ্রোর সংস্কৃতি ও মিডিয়া মন্ত্রী Masa Vlaović, পালাউ এর মানবসম্পদ, সংস্কৃতি, পর্যটন উন্নয়ন মন্ত্রী Ngiraibelas Tmetuchl ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি ও যুব মন্ত্রী Noura Al Kaabi। পর্যবেক্ষক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন Arterial Network এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট Amélia Maria Matsinhe, International Federation of Arts Councils and Culture Agencies (IFACCA) এর নির্বাহী পরিচালক Magdalena Moreno Mujica ও International Council for Film, Television and Audiovisual Communication (CICT-ICFT) এর মহাপরিচালক Xueyuan Hun।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ