
কাইয়ুম মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়াকালি বাড়ী ও হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই প্রতিনিয়তই বিক্রি হয়েছে মাদক।
অনুসন্ধানে যানা যায়, চড়িয়া কালিবাড়ী পশ্চিম পাড়া ও পূর্ব পাড়াসহ সিল্ক সিটি ইন হোটেলের পাশে প্রতি নিয়তই বিক্রি হচ্ছে গাঁজাসহ ইয়াবা। আর এই সকল ইয়াবা ও গাঁজা প্রতিনিয়তই সাপ্লাই দিচ্ছে মাদক কারবারি আয়নাল ল্যাংরা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই আয়নাল ল্যাংরা একাধিক বিয়ে করে প্রতিদিন তার তিন চার জন স্ত্রী ও সন্তানদের দিয়ে প্রকাশ্য গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছে।
এই আয়নাল ল্যাংরা প্রতিদিন তার বাসায় যুবক, শিশু, কিশোরকে গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করান বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা প্রতিদিন গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করে গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং। আর এই কিশোর গ্যাংরা প্রতিনিয়তই চালিয়ে যাচ্ছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মত ঘটনা।
ঠিক একই কায়দায় চড়িয়া কালিবাড়ী পশ্চিম পাড়া মহলার সবুজ মিয়া নামের একজন অল্প বয়সী যুবক। তিনিও করছেন ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। হয়ে উঠেছেন ইয়াবাসহ এলাকার বড় মাদক কারবারি।
হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই আইয়ুব ও মুজিবর, মালেক নামে তিন ভাই মিলেমিশে চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবা ব্যবসা। তাও এই তিন ভাই দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, ও গাঁজা বিক্রি করেন তারা। তিন ভাই হাটিকুমরুলকে গড়ে তুলেছেন ইয়াবার শহর হিসেবে। দিন রাত চলছে এই ইয়াবা ব্যবসা। এরা গ্রেফতার হলে তাদের স্ত্রী-সন্তানরা ব্যবসা চালিয়ে যায় । কিন্তু সাধারণ মানুষের পশ্ন এই মাদক আসছে কোথা থেকে। আইয়ুব-মজিবর গ্রেফতার হলেও, তার আরেক ভাই মালেক ও তার স্ত্রী সন্তানেরা চলিয়ে যাচ্ছে রমরমা এই ইয়াবা ব্যবসা।
এরা বেশ করেকবার র্যাবে, পুলিশ, ও সেনাবাহিনীর হাতে আটক হলেও অদৃশ্য কারণেই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে তিন ভাই। এই আইয়ুব ইয়াবর সাম্রাজ্য গড়ে তোলার কারণে এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে একবার বেধড়ক মারধর করেছিলেন বলে তথ্য অনুসন্ধানে যানা যায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ঠিক আগের মতই প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা মাদক ব্যবসা।
আর এই সকল মাদক কারবারিরা মুলত বেশির ভাগই গড়ে তুলেছে কিশোর গ্যাং উল্লেখ আছে এই আয়নাল ল্যাংরার বাড়ী র্যাব ১২ এর অফিসের পিছন দিকে ১ কিলোমিটার দূরে কোন প্রশাসন তার বাড়ীর রাস্থায় ঢুকলেই কথিত সোর্স এর ফোন কলের মাধ্যমে খবর চলে যায় আয়নাল ল্যাংরার কাছে তাকে এখনো কোন র্যাব বা পুলিশ আটক করেনি।
এলাকার সচেতন মহল বলছেন এই সকল মাদক ব্যাবসায়ীকে প্রশাসন গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দিলে এলার যুব সমাজ ধংশের দ্বার পান্ত থেকে বাজবে -ফিরে পাবে তাদের নতুন জীবন। আর তারা আরো বলেন এই মাদকের ভয়াবহ দাবানল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সিল্ক সিটি ইন হোটেলে মাদক বিক্রির কথা অস্বীকার করে হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ বলেন, মাদক বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু শুনি নাই।
এ বিয়য়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে যানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন জয়েন করেছি। আপনাদের মাধ্যমে মাদকের হোতাদের নাম শুনতে পারলাম। অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।