এস এম আক্কাস, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া মডেল হাই স্কুল মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আ. আলীম ও শহীদ সোহানুর রহমান রঞ্জুর স্মরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, হাসিনার নির্যাতন আল্লাহ্ও পছন্দ করে নাই। তাই মহান আল্লাহ্ আমাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। আমি এখানে বক্তব্য দিতে পারছি। কিন্তু হাসিনা দুপুরের খাবারটুকুও খেয়ে যেতে পারে নাই। অথচ সব রান্নাবান্না করা ছিলো।
নৃশংস হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে টুকু বলেন, বাঐতারা ও কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের প্রথম শহীদ হন জাহাঙ্গীর আর বাবলু। তাদের রক্তে রঞ্জিত লাশ আমি দেখেছি। সেই ভয়াবহতা কখনো ভোলার নয়। ১৮ সালের নির্বাচনে আমাদের দুইজন কর্মীকে গুলি করে চোখ অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো।
লুটপাট আর অর্থপাচার প্রসঙ্গে বলেন, তারা এত লুটপাট আর পাচার করেছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনীত সামান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তাদেরও সম্পদের পাহাড় হয়ে গেছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস. এম নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
এসময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আ. আলীম ও শহীদ সোহানুর রহমান রঞ্জুর পরিবারকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।