হিলি প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েকদিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সেই সঙ্গে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। তীব্র গরমে পোলট্রি খামারে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মুরগি। নানা রকম ওষুধ প্রয়োগ করেও বাঁচানো যাচ্ছে না। লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে খামারিদের। উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ।
হিলি বাজারে মুরগি খামারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, টানা কয়েকদিন ধরেই দিনাজপুরের হিলির চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ এমন আবহাওয়ায় জনসাধারণের পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে পশু পাখি ও মুরগির খামারের। গরমে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খামারে। ঘনঘন বিদ্যুৎতে লোডশেডিং এর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে খামারের মুরগি। তীব্র দাবদাহে বিপাকে পড়েছেন পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা। অত্যধিক গরমে খামারেই মারা যাচ্ছে অসংখ্য মুরগি। প্রতিদিন একটি করে খামারে ২০ থেকে ৩০টি করে মুরিগ মারা যাচ্ছে। টানা ১০ দিনের তাপপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে খামারগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার দাবি তাদের।
খামারে কর্মরত এলামুল হোক বলেন, আগে ৩ বেলা পানি স্প্রে করা হলেও এখন খামারে ৪-৫ বার স্প্রে করা হচ্ছে। এতে করেও ক্ষতির মুখে পড়ছেন তাদের। গরমের কারণে মুরগির ডিমের উৎপাদনও অর্ধেকে নেমেছে। আগে প্রতিদিন খামারে প্রায় ৩ হাজার পিস ডিম পাওয়া গেলেও এখন তাগরমের কারনে ১ থেকে দেড় হাজার পিস ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারীরা।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, এদিকে মুরগির খামারে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে উঠান ভৈঠকসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এই উপজেলাতে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় মুরগির খামার আছে এছাড়া দেশি হাঁস-মুরগি রয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ। স্থানীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা মিটিয়ে যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।