
কৌশিক চৌধুরী, হিলি: ভারত থেকে পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নতুন মূল্যে ও শুল্কের পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে।
আমদানিকারক বলেন, পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে এতে দাম কমে আসবে বলে মনে তারা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও বাজারে দামের কোনো প্রভাব পড়েনি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রায়হান ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ ঘোষণার চারদিন পর মঙ্গলবার বিকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। আমদানি হলেও বাজারে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়ে নাই।
তিনি আরো বলেন, আমদানি করা এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। তিন দিন আগে আমাদি করা পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিলো ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লে দাম করে আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজর থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা আরমান আলী প্রধান বলেন, হিলি বাজরে কয়েকদির আগে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ভারতে পেঁয়ারে রফতানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়ায় পেঁয়াজ ৫ থেকে ৭ টাকা কমে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দামটা আরো কিছু কমলে ভালো হতো। পেঁয়াজের দাম যতো কম হবে সাধারণ মানুষের ততো উপতার হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারকরা মামুনুর রশিদ লেবু বলছেন, শুক্রবার পেঁয়াজ রফতানির নুন্যতম মূল্য ৫৫০ থেকে কমিয়ে ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। সেই সাথে পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। ভারত সরকার শুল্ক ও মূল্য কমালেও সেদেশের মোকামে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শুল্ক ও রফতানি মূল্য কমিয়ে আনায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি দামও কমে আসবে।
এদিকে মঙ্গলবার চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। বর্তমানে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে বন্দরে পেঁয়াজ বেচা-কেনা হয়েছে।