রাকিব হোসেন, ভোলা: ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজ নির্বাচনী এলাকা বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে ফিরলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম।
দীর্ঘসময় পর ভোলার মাটিতে পা রাখলে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।
গত বুধবার ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে ইলিশা হয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর শুভেচ্ছা নিয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুড়ালিয়া হাউজে পৌঁছান। এরপর বিরতিহীন দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা বড়মানিকা ইউনিয়নের(নিজ গ্রামের) গফুরগঞ্জ বাজারের পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড় মানিকা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম।
এ সময় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আজ মুক্ত, স্বাধীন। দীর্ঘ ১৭ বছর আমি আতংকিত ছিলাম। কখন পুলিশ নিয়ে যায়, কখন গুম হয়ে যাই, নাকি আয়নাঘরে যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর আগে যাদের জন্ম হয়েছে তারা ১ বছর পরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তারা জানে না বিএনপির উন্নয়ন সম্পর্কে, হয়তো বাবা-চাচাদের কাছ থেকে শুনছে। বিএনপির আমলে আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ঘুরেছি, চর উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চেয়ে বিএনপি সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে থাকে। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে। আপনার ধৈর্য ধরুন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আপনাদের বড়মানিকাবাসীর ভালোবাসা আমি ভুলবো না।
বড়মানিকা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজম কাজী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খান, বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আল এমরান খোকন পাটোয়ারী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শিহাব হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জিয়া পাটোয়ারী, ছাত্রনেতা ইমাম, রাকিবসহ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীগণ উপস্থিতি ছিলেন।