সোমবার, ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২ মাস পর বগুড়ায় ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন

সাকিল জোয়ারদার, গাবতলী (বগুড়া): বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১ টায় জেলার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলীহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে দাফনের ২ মাস পর তার মরদেহ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।

নিহত সাব্বির হোসেন (১৪) গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় শাহিন আলমের ছেলে। সে সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় লোকজনের সাথে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় সাব্বির। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছিলো পরিবার।

হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনার পর গত আগস্টের ১৫ তারিখে নিহত সাব্বিরের বাবা শাহিন আমল বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০/৩০ জনকে আসামি করা হয়। এতে মামলার তদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমা ও সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের তত্ত্বাবধানেই সাব্বিরের মরদেহ ফের দাফন করা হবে।

সাব্বিরের মরদেহ উত্তোলনের পর সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিলাদুন্নবী বলেন, ‘সাব্বির হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। যেহেতু সেসময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করেছিল পরিবার। তাই তদন্তপর স্বার্থে মরদেহটি ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত। মরদেহটি ময়নাতদন্তের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এবং পুলিশ ও আদালত আইনগত পদক্ষেপ নেবেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *