নিজস্ব প্রতিবেদক মো. মনজুরুল ইসলাম (মনজু) : বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে অবস্থিত কোরিয়ান দূতাবাস এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। আলোচনা পর্বে শুরুতেই বক্তব্য উপস্থাপন করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক। আয়োজন সফল করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
এরপরে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন “সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। সরকারের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মানুষে মানুষে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নিশ্চয় আরো ভালো হবে। ”
এছাড়া সারাদেশে ৬৪ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তার কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে বলেও উল্লেখ করেন মহাপরিচালক।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই দলীয় নৃত্য, পরিবেশন করে একাডেমি নৃত্য শিল্পীদল “স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো” নির্দেশনায় সাইফুল ইসলাম ইভান, ভাবনা ও পরিকল্পনায় লিয়াকত আলী লাকী।
এরপর পরিবেশিত হয় কোরিয়া এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোকগান, পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। আবারো দলীয় নৃত্য পরিবেশনা, “আজ কেন মোর প্রাণ সজনী গো” ধামাইল পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পী বৃন্দ। কোরিওগ্রাফি করেছেন ফিফা চাকমা, ভাবনা ও পরিকল্পনায় লিয়াকত আলী লাকী।
“বাংলার বর্ণিল সংস্কৃতি” পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। কোরিওগ্রাফি ফিফা চাকমা এবং ভাবনা ও পরিকল্পনা লিয়াকত আলী লাকি।
এরপর পরিবেশিত হয় ‘বাউল নৃত্য- সহজ মানুষ’ পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। নৃত্য নির্দেশনায় মেহরাজ হক তুষার এবং ভাবনা ও পরিকল্পনায় লিয়াকত আলী লাকী।
এরপর শুরু হয় কোরিয়ান সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা। কোরিয়ার শিল্পীরা পরিবেশন করেন গান এবং নৃত্য। তাদের ঐতিহ্যবাহী ও প্রকৃতি নির্ভর ১০ পরিবেশনা উপস্থাপন করেন তারা।