বুধবার, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১৫ দিনেও পদত্যাগ করেননি অধ্যক্ষ তুলশী চরণ দাশ

ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) তুলশী চরণ দাশ পদত্যাগের দাবিতে কলেজে ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুলের ভেতরে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যান। কলেজে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে তারা। এতে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।

অধ্যক্ষ প্রদত্যাগের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ করা হলেও কোনও প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালানোর পর থেকে সারাদেশে দুর্নীতি ও নিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ১৫দিন ধরে ছাতক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) তুলশী চরণ দাশ পদত্যাগের দাবিতে কলেজে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার কলেজে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে তারা।

আরও জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পক্ষে ছাত্রদের বিরোধিতা করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) তুলশী চরণ দাশ। তিনি প্রথমে ছাত্রদের মিছিল বন্ধ করার জন্য নিষেধ দেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে পুলিশকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আনেন। তাতে কাজ না হওয়ায় তিনি শিক্ষার্থীদের মামলা হামলার ভয় দেখান।

একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এর পক্ষে বিরোধিতা করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। কলেজের নানা ধরণের দুর্নীতি এবং অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন তিনি। প্রভাষক পার্থ সারথি টিটু, জাকির আলী, আলমগীর হোসেন সহ একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বেতন এবং অন্যান্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন অধ্যক্ষ। কিন্তু কেউই ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলো না।

তিনি ছাত্রলীগের নেতাদের দিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন। কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী বেতন এবং অন্যান্য খাতে ভুক্তভোগী হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তিনি ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রহরায় জোরপূর্বকভাবে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ক্ষমতার জোরে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দাবি করে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত তুলসী চরণ দাশের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি বার বার কল কেটে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না বলেন, এটা শিক্ষা অধিদপ্তর এর কাজ স্থানীয়ভাবে এ বিষয়টা আমি দেখার সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মহন্ত বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ