
যায়যায়কাল ডেস্ক: ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়না সম্পদ জব্দ করেছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। নিষিদ্ধ বাজির অ্যাপের বিজ্ঞাপন প্রচার ও অর্থ পাচার মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধাওয়ান ও রায়নার মালিকানাধীন মোট ১১ কোটি ১৪ লাখ রুপির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে জুয়া সংক্রান্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ওয়ানএক্সবেট-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ পাচার তদন্তে ধাওয়ানকে তলব করেছিল ইডি।
বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও এ বছর কয়েক দফা তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজে ওয়ানএক্সবেট-এর বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন।
ইডি দীর্ঘদিন ধরেই বাজি বা জুয়ার অ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে আসছে। যারা এ ধরনের অ্যাপের প্রচার করছিলেন বা বিজ্ঞাপনে অংশ নিচ্ছিলেন, তাদের বেশির ভাগকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। সংস্থাটি এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল।
রায়না ২০২১ সালের পর এবং ধাওয়ান ২০২৪ সালের পর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি।
ধাওয়ান ও রায়নার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
দুজন ওয়ানএক্সবেট–এর হয়ে প্রচার চালিয়েছেন। সরাসরি প্রচার না করলেও তাদের হয়ে সারোগেট বিজ্ঞাপন করছিলেন তারা। অর্থাৎ একটুখানি নাম বদলে ওয়ানএক্সব্যাট স্পোর্টিং লাইনসের জন্য দুজনে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। এর ফলে ঘুরপথে ভারতের বাজির প্রচার হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে ইডি।
ধাওয়ান ও রায়না কীভাবে টাকা নিতেন?
ওয়ানএক্সবেট–এর কাছ থেকে দুই ক্রিকেটার চুক্তি বাবদ টাকা না নিলেও অন্য সুবিধা নিতেন। যেমন রায়নার নামে ৬ কোটি ৬৪ লাখ রুপির মিউচুয়াল ফান্ড কেনা হয়েছিল আর ধাওয়ানকে দেওয়া হয়েছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ রুপির সম্পত্তি। এসব অর্থ এসেছিল ওয়ানএক্সবেট–এর প্রচারণার কারণেই। ইডি এই লেনদেনকে অবৈধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
হাজার কোটি রুপির বেশি পাচারের সন্দেহ
ইডি জানিয়েছে, ওয়ানএক্সবেট নেটওয়ার্ক বাজির মাধ্যমে ভারত থেকে এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি অর্থ সরিয়েছে। এর মধ্যে খুব বেশি অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি চারটি পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়েও তল্লাশি চালিয়েছে।












