বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে গুয়াতেমালার সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সঙ্গে গতকাল (২৯ সেপ্টেম্বর) মেক্সিকো সিটির Los Pinos-এ UNESCO World Conference, MONDIACULT 2022-এ অংশগ্রহণরত গুয়াতেমালার Cultural and Natural Heritage বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার Mario Roberto Maldonado Samayoa সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিমন্ত্রী কুশল বিনিময়ের পর গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টারকে দেশটির স্বাধীনতার ২০১তম বার্ষিকীতে (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২) আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে বহুগুণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। অন্যদিকে, গুয়াতেমালা মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের নিকট উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার দ্বার হিসাবে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্লাস্টিক শিল্পের সুখ্যাতি রয়েছে। আইসিটি শিল্পও ক্রমবর্ধমান। তিনি আরো বলেন, গুয়াতেমালা হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলাচ উৎপাদক, যা বাংলাদেশি রন্ধনশালায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দেশটি চকলেট বারেরও উদ্ভাবক। কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালা উভয় দেশই সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। প্রতিমন্ত্রী আফসোস প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালার মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নগণ্য। অদূর ভবিষ্যতে যাতে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা যায় সেজন্য তিনি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার প্রস্তাব দেন। গুয়াতেমালার Cultural and Natural Heritage বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার Mario Roberto Maldonado Samayoa এ ব্যাপার একমত পোষণ করেন। তিনি সাংস্কৃতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগকেও কাজে লাগানোর আহবান জানান। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী সহ বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসময় গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। সাক্ষাৎকালে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাস মেক্সিকোর কাউন্সেলর শাহনাজ আক্তার রানু ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ