রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কসবায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থীকে মারধোরের অভিযোগ

মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইয়ূব আলী ভূইয়া (৫৮) নামের জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থীকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে অপর প্রার্থী এম এ আজিজের সমর্থকদের রিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে পৌর এলাকার শাহপুর বাজারের পশ্চিম দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আহত আইয়ূব আলী ভূইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী।

ইতিপূর্বে তিনি জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ছিলেন। আহত আইয়ূব আলী ভূইয়াকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে, পরে সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন আইয়ূব আলী ভূইয়া। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি কসবা উপজেলায় (৭ নং ওয়ার্ড) সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এবার তিনি সিএনজি চালিত অটো রিকশা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি সিএনজি যোগে বায়েক ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে চৌমুহনী হয়ে কুটি যাওয়ার পথে শাহপুর বাজারের পশ্চিমে পেছন দিক থেকে আসা দুটি সিএনজি তার গতিরোধ করে। সিএনজিতে থাকা ৮/১০জন তাকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুটি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে।

আহত আইয়ূব আলী ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, দুটি সিএনজি আমার সিএনজিটি অনুসরণ করে আসে। আমি হামলাকারীদের মুটামুটি বেশ কয়েকজনকে চিনতে পেরেছি। সবাই আমার সাথে নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা এম.এ আজিজের ভাই-ভাতিজা ও সমর্থক।

তিনি আরও বলেন, গতিরোধ করার পর আমাকে প্রথমে খোকন সরকার নামের পরিচিত একটি ছেলে সিএনজি থেকে টেনে নামায়। পরে মাসুদ মিয়া, মনির মিয়া, সোহেল ভূইয়া সহ আরও ৪/৫জন এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। আমার পড়নে থাকা কাপড় ছিড়ে ফেলে। স্থানীয়রা আমাকে রক্ষা করে। এই ঘটনায় আমি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী এম.এ আজিজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে আমার ভাতিজা মাসুদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করছেন, কিন্তু সে তো ওই সময় আমার সাথে এক আওয়ামী লীগের নেতার জানাজায় ছিল। বাকী যাদের কথা বলছে, তাদের আমি চিনি না। আইয়ূব আলী ভূইয়া তো আমার সম্পর্কে আত্মীয় হন। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিনা তা বুঝতে পারছি না।

এই বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এক প্রার্থী আহত হওয়ার কথা শুনেছি। আমি তাকে দেখতে গিয়েছি। তবে এই ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর বেশি আমি মন্তব্য করতে পারবো না।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ