
নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় রাতেই পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাফিজ আক্তার বলেন, বুধবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় বিএনপির সমাবেশ ছিল। সমাবেশ থেকেই হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিবিকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে । ওই মামলায় জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, গ্রেফতারকৃতরা সবাই ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক বিভিন্ন কমিটির নেতা।
তারা হলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সুমিত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং কলাবাগান শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. রবিন খান ও মো. সাগর। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর রাতেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ।
বুধবার (২ নভেম্বর) পল্টন এলাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির সমাবেশের মিছিল থেকে বিচারপতি মানিকের গাড়ি, গানম্যান ও চালকের ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন গানম্যান রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, পল্টন দিয়ে যাওয়ার সময় বিকেল ৪টা থেকে সোয়া ৪টার দিকে মিছিল থেকে বিচারপতি মানিক, আমাকে ও গাড়ির চালককে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। বিএনপির সমাবেশ থেকেই হামলা করা হয়েছে।
মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বিচারপতি মানিকের গানম্যান কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পল্টন থানার ওসি জানান, বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় একটি মিছিল থেকে বিচারপতি মানিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত করবেন এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হবে। হামলাটি পূর্ব পরিকল্পিত কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।