মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহী বাঘায় প্রতিষ্ঠাতা হ্যাকার রাজা পলাশ ও রাকিব গ্রেপ্তার

আবুল হাশেম, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ইমু হ্যাকিং এর প্রতিষ্ঠাতা রাজা পলাশ ও রাকিব কে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার আড়পাড়া ও তেপুকুরিয়া এলাকার পলাশের নিজ বসত বাড়ি থেকে দুই সহযোগী সহ তাদের আটক করে বাঘা থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া (মিয়াপাড়া) গ্রামের শাহাবুল ইসলাম বাদশার ছেলে রজ্যা আহাম্মেদ ওরফে পলাশ (২৫), তেপুকুরিয়া গ্রামের জুরহান আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম(২৯) ও একই গ্রামের নজরুল ইসলাম এবং আব্দুল লতিফ এর ছেলে মাহমুদ বালি ওরফে আশিক (২২) ও জুয়েল রানা (২১)। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ৭টি মোবাইল, ১৯ টি সিম ( কয়েকটিতে বে-নামে বিকাশ একাউন্ট খোলা রয়েছে এবং এই একাউন্টে বিভিন্ন অংকের টাকা রয়েছে) ও ৩৬ টি ইয়াবা ট্যাবলেট (মাদক) উদ্ধার করে পুলিশ।

থানা সূত্রে জানাযায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন এর দিকনির্দেশনায় এস আই নুরুল আফসার এর নেতৃত্বে এস আই তৈয়ব আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রথমে বাজু বাঘা ইউনিয়নের তেপুকুরিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে রাকিব, আশিক ও জুয়েল কে আটক করে। এরপর আড়পাড়া (মিয়াপাড়া) গ্রামের পলাশের বাড়ী ঘেরাও করে। থানা পুলিশ নিজেদের পরিচয় দিয়ে দরজা খোলার কথা বলা হলেও খোলা হয়নি । বিভিন্ন অজুহাতে আনুমানিক দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পলাশের পিতা দরজা খোলে। এই দু’ঘন্টায় হ্যাকিং এর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক যন্ত্র ও আ্যপস নস্ট করার চেস্টা করেছে বলে আলামত পাই পুলিশ। এরপর পলাশের ঘরের নিরাপদ স্থান হতে ৫টি মোবাইল এবং একটি কোটার মধ্যে থেকে ১১ টি সিম ও অন্য এক স্থান (টিনের চালার নিচ) থেকে একটি থলে থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ সেবনে ব্যবহৃত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রতিবেশীরা বলেন, বাঘা উপজেলায় যখন ইমো হ্যাকিং কি এটা বুঝতনা তখন থেকে পলাশ ও রাকিব তাদের লালপুর উপজেলার বন্ধুদের থেকে আনুমানিক ২০১৮ সালে এই কাজ শিখেছে এবং অপরাধ হ্যাকিং কাজ শুরু করে সে। এদের কাছে বিভিন্ন হ্যাকার চক্রের সদস্যরা দলবল নিয়ে আসতো ও নেশা ভান করে আবার চলে যেতো। এরা সব সময় দলবল নিয়ে ঘুরে। এতো টাকা হয়েছে নিত্য নতুন মোটারসাইকেল পরিবর্বন করতে দেখেছি। বর্তমানেও পলাশের বাড়িতে তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। অথচ সে কোন চাকুরী বা ব্যবসা করে না। বাঘা উপজেলা সদরের বেশ কয়েকজন ছেলেপেলেরা পলাশকে বিকাশ একাউন্ট করে বেনামি সিম এবং হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মাদক সরবরাহ করে।

এবিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাজ্জাদ হোসেন সাজু বলেন, অভিযোগ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিজিটাল ডাকাত  (হ্যাকার) আটক করা হয়েছে। গত  এক সপ্তাহে ১৩ জন হ্যাকার কে আটক করা হয়েছে। তথ্যমতে আরও হ্যাকারদের আটকের অভিযান চলমান রয়েছে।মাদক ও ডিজিটাল ডাকাত হ্যাকারদের অবাধ চলাচল বন্ধ করতে সকলের সহযোগিতা চাই পুলিশ। আটকদের ডিজিটাল  আইনের মামলা দিয়ে আজকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ