
আবু শামা, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)কিছু সাবেক ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নাম ব্যবহার করে হলের উঠার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। প্রক্টরিয়াল বডি তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী তাদের সাথে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেন।
সোমবার (৩০জানুয়ারী) রাত সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে।
আবাসিক হল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের ৩১৮ নং রুমের চেষ্টা করে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস, আমিনুর বিশ্বাস, মাহি হাসনাইন, ইকবাল খান, ফয়সাল সহ আরও অনেক। এ সময় তারা সাথে ৪টি বেড নিয়ে আসেন। তাদের অছাত্রও রয়েছে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। আবাসিক হলের ছাত্রলীগের দাবি শুধু আমিনুর বিশ্বাসের ছাত্রত্ব রয়েছে। তবে তাদের দাবি আমরা হলে উঠতে আসি নাই বরং ছোট ভাইকে হলে তুলে দেওয়ার জন্য এসেছি। একজনের জন্য ৪ টা বেড কেন জিজ্ঞেস করলে স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, সাথে আরও কয়েকজন জুনিয়র ছিলেন তাদের জন্য।
তাদেরকে বাধা দেওয়ার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এখানে হত্যামামলার প্রধান আসামিসহ কয়েকজন অছাত্র এসে হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভোগায় তাদেরকে প্রতিহত করতে গেছে। তারাই কয়েক মাস আগে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল ও ফাঁকাগুলির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, আমরা হলের সকল প্রক্রিয়া মেনেই শিক্ষার্থী তুলব। যারা হলে ওঠতে চেয়েছে, তারা হল প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়নি। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
এদিকে উভয় পক্ষের হাতাহাতি থামাতে গেলে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের সাথেও বাগবিতন্ডা ঘটে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এসময় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরীসহ কয়েকজনকে তাঁর সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে অমিত দত্তের বক্তব্য জানতে তার ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা আগামীকাল বসবো, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।