লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মজুুপুর ১০নং ওয়ার্ড় ডিবি রোড়ের একটি বাসা থেকে রহস্যজনক ভাবে ২টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৬জানুয়ারী দিবাগর রাতে প্রবাসী আবদুল বারেক পাটোয়ারীর বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে বাড়ির মালিকের শ্বশুর বাড়ির তত্বাবধায়ক নজির আহাম্মদ বাসার দারোয়ান মোহাম্মদ ওরপে লিটন কে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখত অভিযোগ করেন। এদিকে চুরি হওয়া একটি মোটরসাইকেল এর মালিক মুহাম্মদ জাবের হোসেন আল মামুন বাড়িটির তত্বাবধানে থাকা নজির আহাম্মদ ও দারোয়ান মোহাম্মদ ওরপে লিটনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, দক্ষিণ মজুপুর ৭৬৩ নং হোল্ডিং এর বাড়িটির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল ও প্রধান গেইট রয়েছে। বাউন্ডারির ভেতরেই মোটরসাইকেল ও গাড়ি স্ট্যান্ড। সেখানেও রয়েছে লকার। বাড়িতে দারোয়ানও আছে। কিন্ত এত কিছুর পরেও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলের মাঝখান থেকে ২টি মোটরসাইকেল রহস্যজনক ভাবে চুরি হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল ছাড়াও এ বাড়িতে কয়েক দিন পরপরই চুরির ঘটনা ঘটে। অথচ বাড়িতে দারোয়ানও রয়েছে । কিন্ত আশপাশের অন্য বাড়িতে দারোয়ান নেই চুরিও নেই।
এমনই আক্ষেপে সাথে কথা গুলো বলেছিলেন, লক্ষ্মীপুর শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের ডিবি রোডস্থ আবদুল বারেক পাটোয়ারির বাড়ির ভাড়াটে বাসিন্দা জাবের আল মামুন । মামুন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অফিসে কর্মরত। একই দিন চুরি হয়েছে ওই বাড়ির অপর বাসিন্দা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বুরো বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা অনীল বিকাশ ত্রিপুরার মোটরসাইকেলও।
গত ১৬ই জানুয়ারি এ ঘটনার পর নজির মাস্টার লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মাস্টার নজির আহাম্মদ জানান, এঘটনায় লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি সাধারণ ডায়েরি করার পর একজন পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল দেখে আসা ছাড়া আর কোন কাজ হয়নি।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সালাহ উদ্দিন জানান, তাদের জিডিটি সদর থানার কোন কর্মকর্তার ওপর দেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চোরদের নিকট লক্ষ্মীপুর জেলা একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জেলার দুর্ধষ গাড়ি চোর রায়পুরের মোবারক হোসেনকে গ্রেফতারের পরেও চুরি থেমে নেই। এ অবস্থায় মোটরসাইকেলের মালিকরা প্রতিনিয়ত আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।