
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত একটি মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর মডেল থানার ওই মামলায় শহরের ফুলবাড়ীয়ার মাহি মোহাম্মদ আল মামুন (২৪) ও কলেজপাড়ার মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল (২২)-এর বিরুদ্ধে গত ২৩শে ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। কোর্ট ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আদালত ২২শে ফেব্রুয়ারি চার্জশিটটি গ্রহণ করেছেন।
যা এখন বিচার ফাইলে রয়েছে। চার্জশিটভুক্ত আসামি মাহি মো. আল মামুন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের ছেলে। অপর আসামি মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল কলেজপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে। গত ২৪শে নভেম্বর শহরের ফুলবাড়ীয়ার নিজের বাসা থেকে মাদকসহ আটক হওয়ার পর মাহিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (এফআইআর নং-২৯, তারিখ:২৪/১১/২০২২) হয়।

এসআই মোহাম্মদ সাফায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়- বাদীর ডিউটি চলাকালে গোপনসূত্রে খবর পান শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার ২৮৭ নম্বর বাড়িতে মাহি মো. আল মামুনের শয়নকক্ষে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ মাহিসহ ৩ জনকে আটক করে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে মাহি তার হেফাজতে ফেনসিডিল রয়েছে জানিয়ে খাটের নিচ থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিল বের করে দেয়।
মিথিলের দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এজাহারে বলা হয়, ধৃত আসামিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা প্রায় সময়ই বিভিন্ন কায়দা-কৌশল অবলম্বন করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাদক সংগ্রহ করে শহর এলাকায় এনে খুচরা ও পাইকারি মূল্যে বিক্রয় করে বলে পুলিশকে জানায়। সদর থানা পুলিশ জানায়, এ মামলায় এক মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয় মাহি ও মিথিল। চার্জশিটে (অভিযোগপত্র নং-৫১৩, তারিখ: ২২শে ডিসেম্বর, ২০২২) তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মাহি মো. আল মামুন ও মাজহারুল মোস্তফা ওরফে মিথিল পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা একে অপরকে মাদক কেনাবেচায় সহায়তা ও প্ররোচিত করে।
গত ২৪শে নভেম্বর দুপুরে মাহি ও মিথিল ভারতীয় সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে মাহির বাসায় রাখে। পুলিশের অভিযানকালে মাহি মোহাম্মদ নিজের শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিল বের করে দেয়। আর মিথিলের প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাহি মো. আল মামুন ফেনসিডিল বিক্রি করার জন্য নিজ গৃহ ব্যবহার করে বলে চার্জশিটে বলা হয়। মামলার অপর আসামি আরিয়ান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য- প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।