শনিবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় গ্রেফতারের পর আসামি অসুস্থ; পরিবারের সন্দেহ, মারধর করেছে পুলিশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাক গ্রামের মো: মফিজুর রহমানের ছেলে রবিউল হোসেন জুয়েল(৩৬)এর বিরুদ্ধে একই গ্রামের আবুল কালাম রিপনের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে রবিউলকে আকট করা হয় চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানা থেকে এস আই বিকাশের নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম থানার একটি টিম।

রবিবার (১২ মার্চ) মধ্যরাতে রবিউলকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসে। আসামি রবিউল ও তার পরিবার বলছেন পতেঙ্গা থানা থেকে চৌদ্দগ্রাম থানায় রবিউলকে থানায় নিয়ে আসার পথে একটি মাইক্রোবাস গাড়ীতে পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ থেকে ছয়জন সন্ত্রাসী ছিল এবং রবিউলকে চোখ বেধে গাড়ীতেই বেধর মারধর করে।

রবিউল একজন সৌদি প্রবাসী গত মাসে সে ছুটিতে দেশে  আসে ১২ মার্চ রাতে সৌদি যাওয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর গেলে তাকে বিমান বন্দর পুলিশ গত ১ মার্চ কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের আবুল কালামের স্ত্রী শিরিনা আক্তারের ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারা দায়ের করা মামলায় আটক দেখানো হয়।
আটক রবিউল বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগে রয়েছেন।

আসামী রবিউল বলেন,আমি আটক হওয়ার পূর্বে সুস্থ ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদি শিরিনা আক্তারের স্বামী আবুল কালাম রিপনের সাথে  স্বর্ণের বার বিক্রি সংক্রান্ত কোন বিষয় বা ঘটনা নেই। আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আটক করে।


এ বিষয়ে বরিউলের ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ভাই একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা। বিদেশ থেকে আসার সময় বৈধভাবে কাস্টমস চার্জ দিয়ে ২টি স্বর্ণেরবার নিয়ে আসে। কিন্তু আবুল কালামের সাথে ব্যবসায়িক টাকা পয়সার লেনদেন ছিল।  আমাদের দাবি হলো আমার ভাই সুস্থ সবল ছিল এস আই বিকাশ ও তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্য ও সন্ত্রাসীহিনী আমার ভাইকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে  অত্যাচার করে অসুস্থ বানিয়ে ফেলেছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে পুলিশ ও সন্ত্রাসীবাহিনীর এ নির্মম অত্যাচারের সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাই।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরন্জন চাকমা বলেন, রবিউলের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।এস আই বিকাশ ও তার টিম পতেঙ্গা থানা থেকে তাকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসে। গাড়ি শুধু পুলিশ সদস্যরাই ছিল। সন্ত্রাসীবাহিনী থাকারতো প্রশ্নই আসে না পুলিশের সাথে পাবলিক থাকবে কেন। তাছাড়া পূর্বের থেকেই তার হার্ডে সমস্যা, ডায়াবেটিস ও হাই প্রেসার ছিল। চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসার পর বুক ব্যাথা জনিত কারণে চিকিৎসার জন্য   দ্রুত তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। বরিউল সুস্থ হলে আমরা তাকে আদালতে সপর্দ করবো।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *